চলমান সংবাদ

সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এবং বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর শহীদ মিনার এলাকায় মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় মূখ্য সচিব বলেন, ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের আলাদা গুরুত্ব আছে, তাই প্রধানমন্ত্রী এখানে অনেক উন্নয়ন করছেন। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের বিশেষ অবদান আছে। এই চট্টগ্রাম থেকেই এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দেন চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে স্মৃতিসৌধ নেই, সরকার এটি নির্মাণ করবে। কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছি, খুবই চমৎকার জায়গা। এছাড়া মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। এখানে যে এমন সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি হচ্ছে তা দেখে আমি চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে গর্বিত। চট্টগ্রামে শহীদ মিনারটি বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে না নিতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ মিনার কোথাও সরিয়ে নেয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র সংস্কার করা হবে। এটি এখানেই স্থায়ীভাবে থাকছে। যে নকশায় এই প্রকল্প নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ মিনারও উন্নয়ন করা হবে। আমরা শহীদ মিনাটি ভালভাবে সংরক্ষণ করার জন্য কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এরপর চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেছেন বলেই বে টার্মিনাল বাস্তবায়ন হচ্ছে। রিং রোড বাস্তবায়নসহ বেশকিছু উন্নয়নের ফলে পুরো এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। এ রকম বড় বড় স্বপ্ন আগে কখনো কেউ দেখেনি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও উপস্থিত ছিলেন। এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বে টার্মিনাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি। এখন দ্রুততম সময়ে কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে আমরা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর বে টার্মিনালের হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য, জমি অধিগ্রহণ ও ডিটেইল ডিজাইন তুলে ধরেন বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।

বন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ হলেও বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকায় এ ধরনের ঝুঁকি নেই। যা ফিজিবিলিটি স্টাডিতে উঠে এসেছে। বন্দরের বর্তমান জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করলেও বে টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা এবং চ্যানেলে এক সঙ্গে চারটি জাহাজ পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে। তিনটি টার্মিনালের মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে আট বছরে এবং কনটেইনার টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে ১১ বছরে উঠে আসবে। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ চাহিদাকে মাথায় রেখে অন্যান্য সব সুবিধা ছাড়াও ট্রাক টার্মিনাল ও আলাদা ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানানো হয়।

# ২৪.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #