রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতার কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে- শিক্ষা উপমন্ত্রী

চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের বড় অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতার কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের সামনে নিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা কখনো এত বেশি হয়ে যায় যার কারণে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে সম্মাননা জানাতে ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিবছর জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কাজ যেভাবে এগোবার কথা ঠিক সেভাবে এগুচ্ছে না। অনেক সমস্যা আছে সেগুলো নিরসনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে না পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নওফেল বলেন, উন্নয়ন তখনই হয় যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, জনসেবা নিশ্চিত করতে পারে এবং জবাবদিহি সঠিকভাবে হয়। এই জবাবদিহি নিশ্চিত করার কাজটিই সাংবাদিকরা এগিয়ে নিচ্ছেন। সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো প্রমুখ। দেশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভুঁইফোড় সংবাদমাধ্যম বাড়ছে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সরকারকে চিন্তা করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত ও অনিবন্ধিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে সাংবাদিক পরিচয় দেবার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরাই সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, গতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে যা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশেও ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয় না। কঠোর নীতিমালা না থাকলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা পেশা বিত্তশালীদের কাছে আবদ্ধ হয়ে যাবে।

# ২৩.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #