চলমান সংবাদ

চকবাজার ওয়ার্ড নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ২১ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনই আওয়ামী লীগের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক’র ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক নির্বাচিত চকবাজার কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে শূন্য হওয়ায় এই ওয়ার্ডে আগামী ৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হতে প্রার্থী হয়েছেন ২১ জন, এর মধ্যে ২০ জনই আওয়ামী লীগের। একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এত প্রার্থী এর আগে দেখা যায়নি। অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী একজন। আওয়ামী লীগের ২০ প্রার্থীর মধ্যে তালিকায় যেমন সাবেক কাউন্সিলর, দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আছেন, তেমনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের মামলায় অস্থসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সন্ত্রাসীও রয়েছেন। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারামারি, হামলা, সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন ভোটারসহ সংশ্নিষ্টরা। এদিকে বিগত নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী না দেয়ায় নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটিতে বিএনপি’র একক প্রার্থী বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, চকবাজার ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রার্থী হতে এবার রেকর্ড ২৫ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। গত রোববার মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষদিনে মাত্র তিনজন ফরম প্রত্যাহার করে নেন। একজনের ফরম বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন প্রার্থী সংখ্যা ২১ জন। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন চসি’কর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মমতাজ খান, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর ছেলে কাজী মুহাম্মদ ইমরান, ওয়ার্ড যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নোমান চৌধুরীসহ স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন। এসব প্রার্থীর বাইরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযুক্ত আরো দুইজন আবদুর রউফ ও নুর মোস্তফা টিনুও প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে একজন কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত চাঁদাবাজ, অন্যজন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের মামলায় অস্থসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সন্ত্রাসী। অন্যদিকে বিএনপি’র একক প্রার্থী হয়েছে নগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম সালাহউদ্দিন। তিনি গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। তবে সেই নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও এবার তিনি স্বতন্ত্র হিসেবেই দাখিল করেছেন মনোনয়ন ফরম। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণ করে দলের স্থানীয় সরকার বিষয়ক মনোনয়ন বোর্ড। এখানে মহানগর আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই। কেন্দ্র যদি কোন সিদ্ধান্ত দেয়, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী হয়ে গেছে। এটার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে বিএনপি। নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটি করলে তো অন্যজন চলে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাদের কয়েকজনকে নির্বাচন না করার জন্য অনেকে বলেছেন কিন্তু কেউই প্রার্থীতা প্রত্যাহর করছেন না। প্রসঙ্গত গত ১৮ মার্চ সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২ জন। পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ এবং নারী ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
# ২০.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #