চলমান সংবাদ

নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা, জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নগরীতে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠিত হওয়া জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর বিবিরহাট, শুলকবহর ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনসহ জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী গত সোমবার রাতে অজ্ঞাতস্থানে গোপন বৈঠক করে ঝটিকা মিছিল করে নাশকতার পরিকল্পনা করে। এরপর তারা হাটহাজারী উত্তর জনশক্তি- নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে যোগাযোগের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় জড়ো হয়। সেখান থেকে তারা মিছিল বের করে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ঢাকায় দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তারা মিছিল বের করেছিল। তবে পুলিশ দ্রুত মুভ করার কারণে তারা নাশকতার সুযোগ পায়নি। মিছিল করার পরে জামায়াতের নেতারা কেউ বাসায় ছিল না। নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’ ওসি বলেন, নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠিত হওয়ার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার এসআই জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে জামায়াত-শিবিরের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার সাতজন ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মিফতাহুল আলম (২৮), আব্দুল কাইয়ূম (৫৫), ইরফান ইউনুছ (২৮), মোহাম্মদ আলী (৪০), ইমরান আলী (৩৮), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩২) এবং মো. দেলোয়ার (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার মিফতাহুল চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রবাহ কোচিং সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক। আব্দুল কাইয়ূম নগর জামায়াতের বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক। ইরফান ইউনুছ নগর ছাত্রশিবিরের সাথী। মোহাম্মদ আলী নগর জামায়াতের সহ প্রচার সম্পাদক। ইমরান আলী, আবু বক্কর ও দেলোয়ার জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। এদিকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংগঠনের সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ইমু এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে মিছিলটি দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্পদায়িক জঙ্গিবাদী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিনের। পেট্রল বোমায় ঝলসানো বাংলাদেশ, বাতাসে মানুষের পোড়া গন্ধ মানুষ হত্যার বীভৎস উৎসব বাংলার মানুষ আর দেখতে চায় না। তাই অচিরেই জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, খোরশেদ আলম মানিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এমএ হালিম সিকদার মিঠু, ওসমান গনি বাপ্পি, কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, আব্দুল আহাদ, সহ-সম্পাদক শুভ ঘোষ, এম হাসান আলী, সদস্য মোশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ। # ০৮.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #