চলমান সংবাদ

জেনারেল হাসপাতালে এইচডিইউ ওয়ার্ডের যাত্রা শুরু

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নতুন এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেনসি ইউনিট) ওয়ার্ডের উদ্বোধন হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নতুন এ ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেন। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আজকে আমাদের এ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে একটি উন্নতমানের কোভিড স্পেশালিস্ট হসপিটাল হিসেবে পরিণত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানায়। তিনি শুরু থেকেই তিনি জানতেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সম্পর্কে এটা একটা অনেক পুরোনো হাসপাতাল। তিনি নিজেই ব্যক্তিগতভাবে এটা সম্পর্কে জানতেন। তিনি কিন্তু ওভাবেই ইনস্ট্রাকশন (নির্দেশনা) দিয়েছিলেন ঢাকার মুগদা ও চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতাল এ দু’টোকে প্রস্তুত করতে। এবং এ আগাম প্রস্তুতের কারণে আজকে আমার এতোকিছু পেয়েছি এবং আরও পাচ্ছি। আমরা চাই যে এ হাসপাতালটাকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করতে পারলে চট্টগ্রামে যে সরকারি হাসপাতালে যে আমাদের একটা শর্টকামিন্স আছে। আমাদের যেটা এখন সরকারি হাসপাতালের যে অপ্রতুলতা। সেটা নিরসন হবে বলে আমরা মনে করি। কারণ পূর্ণাঙ্গ জনবল না পেলে একটি হাসপাতাল কিন্তু শুধু মাত্র অবকাঠামো বা যন্ত্রপাতি দিয়ে চালানো যায় না। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এটা কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ। যে যন্ত্রপাতি আছে কিন্তু সেটাকে পরিচালনা করা এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তো জনবল লাগবে। সে জনবল কাঠামোটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সিভিল সার্জন মহোদয় তিনি ইতোমধ্যেই একটা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে পূর্ণাঙ্গ একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে এটাকে প্রস্তুত করা যায়। এটা আমাদের দাবি। আমি এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আমি মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এ দাবিটা এরআগেও রেখেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে তিনি এখানে যে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বটাও তিনি আমাকে বলেছিলেন যে দেখা শুরু করতে। তার অনুরোধেই আমরা কাজটা শুরু করতে পেরেছি। এখন আমরা তার কাছে এটাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিণত করতে চাই। আর একটা অবকাঠামো দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি, এটা শতবর্ষী একটা দালান, এই দালানটি। এবং এটাকে রেখেও কিন্তু আমার করতে পারি। এটাকে কিন্তু আমরা সুন্দর ভাবে, এটা যেহেতু একটি শতবর্ষী দালান, অবকাঠামো, এটাকে একটু রিপেয়ারিং করে রাখবো এবং অন্যান্য পেসিলিটিসগুলোও নিশ্চিত করবো।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. আবদুর রব মাসুম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া প্রমুখ। গত জুলাই মাসের শেষ দিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় নতুন ১৮ সাধারণ শয্যাও বাড়ানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আইসিইউ’র জন্য চাহিদা থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে হাই ডিপেন্ডেনসি ইউনিট বা এইচডিইউ শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। যা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় নতুই এই ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়। ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘১৮ শয্যার আইসিইউ থাকলেও তা রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল। প্রতিদিনই কারও না কারও প্রয়োজন হচ্ছে আইসিইউ বা এইচডিইউ শয্যার। উল্লেখ্য, জেনারেল হাসপাতালে গত বছরের এপ্রিল থেকে ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়। এরপর রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৫০ শয্যা করা হয়। পরে গত বছরের জুলাই থেকে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়। এ বছর তা বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়। নতুন করে যুক্ত হওয়া ৮টি এইচডিইউ ফলে সংকাপন্ন রোগীদের সেবায় আরেকধাপ এগিয়ে যাবে করোনা রোগীদের সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটি।
# ২৯/০৮/২০২১ চট্টগ্রাম #