চলমান সংবাদ

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার আলোচনা সভা

“দূর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, সাম্য, গনতন্ত্র,স্বচ্ছতা ও কর্মসংস্থানের সংগ্রামে জেগে উঠো সাহসী তারুণ্য” এই শ্লোগানকে ধারণ করে লড়াই-সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের  সংগঠন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রামের হাজারী গলিস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোঃ শাহ আলম,  বাংলাদেশ  যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, শ্যামল লোধ, জাবেদ চৌধুরী, রাশিদুল সামির প্রমুখ

বক্তারা বলেন, যুব আন্দোলন, নতুন কাজের ধারা, মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় অসীম তারুণ্য নিয়ে ১৯৭৬ সালের ২৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।  ছাত্র আন্দোলন শেষ করা ১৫-২০ জন যুবক, যাদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, তাদের প্রাথমিক প্রচেষ্টায় তৎকালীন গুমোট পরিবেশ সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে যে সংগঠন গড়ে উঠেছিল, তার নাম ‘গণতান্ত্রিক যুব ইউনিয়ন’। ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলে যুবকদের প্রকৃত আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে যুব সমাজের ভেতর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্রাজ্যবাদ-ফ্যাঁসিবাদবিরোধী ও শূন্যপদে নিয়োগদানে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। ১৯৭৭ সালের ৯-১০ জানুয়ারি প্রথম সম্মেলনে সংগঠনের নাম হয় ‘বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন’।

বক্তারা আরো বলেন, ৪৫ বছরের নানা প্রতিবন্ধকতা, নানা সংগ্রাম-লড়াই, বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের পথচলা। এ পথচলায় একদিকে যেমন গণমানুষের পাশে  থেকে যুব সমাজের পথ নির্মাণ ও নির্দেশ করেছে, অন্যদিকে মানুষের জীবনবোধ ও অধিকার আদায়ের রাজনৈতিক সংগ্রামেও নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশের প্রতিটি দূর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের জন্য সহযোগিতার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছে যুব ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগ্রাম এবং সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদবিরোধী ও দেশে দেশে মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে যুব ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন,  শোষণ-বঞ্চনাার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, কিন্তু আজো অর্জিত হয়নি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। যুব সমাজের জন্য জাতীয়ভাবে গৃহীত কোন রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নেই। অজ্ঞানতার অভিশাপ ও বেকারত্বের জ্বালা যুব সমাজকে হাতাশাগ্রস্ত করছে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে যুব সমাজের শক্তি ও মেধা-প্রতিভা ব্যবহৃত হচ্ছে না। দুর্নীত, লুটপাট ও সন্ত্রাস রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। জনগণ ভোটাধিকার হরণ করেছে বর্তমান সরকার। জণগণ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। তাই বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন যুব সমাজকে সংগঠিত করতে চায় দূর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং কর্মসংস্থানের দাবিতে।

# ২৭ আগস্ট ২০২১, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #