চলমান সংবাদ

সংবিধান লংঘন করে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা শিক্ষক সমাজ মেনে নেবে না

সিআরবিতে প্রতিবাদী শিক্ষক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষকনেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

সিআরবি নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রাণের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে চলে যাবে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিআরবি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্মারক। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও বৈভব হানি করে হাসপাতাল তো নয়, ইট-পাথরের কোন স্থাপনা গড়ে তুলতে দেয়া হবে না। সিআরবিতে যে ধরনের হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমাদের মতো শিক্ষকদের চিকিৎসা হবে না। আমাদের চিকিৎসা করতে যেতে হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাই আমরা দ্ব্যর্থহীণ কন্ঠে জানাতে চাই, চট্টগ্রাম মেডিকেলের উপর চাপ কমাতে হলে প্রয়োজন সরকারি হাসপাতাল। বেনিয়া গোষ্ঠীর তৈরি কোন বেসরকারি হাসপাতাল নয়। তবে সিআরবির প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে হাসপাতাল নির্মাণ হতে পারে না। সিআরবিতে কোন হাসপাতাল হলে আশেপাশের তিন চার কিলোমিটার জায়গা পরিবেশ দূষণে ভরে যাবে। আমরা শিক্ষকরা সবসময় ছাত্রদের সচেতন করি, দেশপ্রেম শিখাই। সেই শিক্ষকরা কখনো অন্যায়কে মেনে নিতে পারে না। সংবিধান লংঘন করে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা আমরা শিক্ষক সমাজ এবং আমাদের হাজার হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবো না। মঙ্গলবার বিকেলে সিআরবিতে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ এবং প্রতিবাদী সমাবেশে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন, আমাদের দুটো দাবি। এক. সিআরবিতে কোন হাসপাতাল হবে না। দুই. হাসপাতাল যদি করতেই হয়, তবে সরকারি হাসপাতাল হতে পারে, যেখানে বড়ো কষ্টে দিনাতিপাত করা আমরা শিক্ষকরা চিকিৎসা নিতে পারবো। বাকবিশিস নেতা অধ্যাপক মো. লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং বিটিএ নেতা অঞ্চল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাকবিশিস কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্য, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন, জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ নূরুল আবছার, মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ আলম আরা বেগম, অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মোর্শেদ, অধ্যাপক মো. রফিক উদ্দিন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন অধ্যাপক বাবলা চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক মো. শহিদুল্লাহ প্রমুখ। শিক্ষক সমিতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিচিত্রা চৌধুরী, মনিকা সেন, ভানু রাণী দে, শামসুল হক, মৃণাল দাশ, স্বপ্না বড়–য়া, কাঞ্চন বিশ্বাস, মো. এহছান, আবদুল মালেক প্রমুখ। নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কো চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ ইউনুস প্রমুখ। # ২৪.০৮.২০২১ চট্টগ্রাম #