চলমান সংবাদ

করোনায় বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় ৯ ধাপ পিছিয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক ক্রমতালিকা থেকে পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্টের বৈশ্বিক তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৯ ধাপ পিছিয়ে এখন ৬৭। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে লয়েডস লিস্ট এ তালিকা প্রকাশ করেছে। চীনের সাংহাই বন্দর তালিকার শীর্ষে আছে। বিশ্বের বন্দরগুলোর কাজের গতি ও কনটেইনার পরিবহনের হিসাব করে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা করে লয়েডস লিস্ট। তাদের গত বছরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম। এর আগে, ২০১৯ সালে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দর এগিয়ে গিয়েছিল ছয় ধাপ। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের মধ্যে ৬৪তম। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কনটেইনার পরিবহনেও সার্বিক অগ্রগতি আসে গত এক দশকে। ২০১৩ সাল থেকে টানা সাত বছর চট্টগ্রাম বন্দর এগিয়ে যাওয়া ধরে রেখেছিল। এমনকি করোনার সংক্রমণ শুরুর পরও গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি ছিল। বন্দর সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনার ধাক্কায় গত এক বছরে বৈদেশিক বাণিজ্য কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরও পিছিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ১০০ বন্দরের ২০২১ সালের সংস্করণ প্রকাশ করেছে জার্নালটি। এই তালিকা তৈরিতে ২০২০ সালের অভিজাত বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যাকে বিবেচনা করা হয়। জার্নালটির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস কনটেইনার পরিচালনা করেছে। তারে আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ কনটেইনার পরিচালনা করেছে। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ শতাংশ কনটেইনার পরিচালনা কমে গেছে। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮ তম, ২০১৯ সালে ৬৪ তম, ২০১৮ সালে ৭০ তম, ২০১৭ সালে ৭১ তম, ২০১৬ সালে ৭৬ তম ও ২০১৫ সালে ৮৭ তম স্থান দখল করে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর। বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার পোর্টের তালিকায় প্রথমে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর, তারপর তালিকায় ধারাবাহিকভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর, চায়নার নিংবো জওশান বন্দর, চায়নার সেনজেন বন্দর, চায়নার জুয়াংজউ বন্দর, চায়নার কিংডাও বন্দর, সাউথ কোরিয়ার বুসান বন্দর, চায়নার তিয়ানজিন বন্দর, চায়নার হংকং বন্দর, নেদারল্যান্ডের রোটারডাম বন্দর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর, মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং, বেলজিয়ামের এন্টওয়্যার্প, চায়নার জিয়ামেন, মালয়েশিয়ার তানজুং পেলেপাস, তাইওয়ানের তাওসিউং, আমেরিকার লস এঞ্জেলস, জার্মানির হামবার্গ, আমেরিকার লংবিচ, ভিয়েতনামের হো চি মিনহ সিটি, আমেরিকার নিউইয়র্ক বন্দর, থাইল্যান্ডের লাইম চাবাং, ইন্দোনেশিয়ার তানজুং প্রিয়ক, শ্রীলংকার কলম্বো বন্দর। এছাড়া মরোক্কোর তেনজার মেড, ভারতের মান্দ্রা, চায়নার ইংকও,গ্রীসের পীরায়াস, স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া, চায়নার তাইকাং, ভিয়েতনামের হাইপোং, চায়নার ডালিয়ান, স্পেনের আলজেসিরাস, চায়নার রিজহাও, চায়নার লিয়ানইউংএং, জার্মানির ব্রেমেন, সৌদি আরবের জেদ্দা, আমিরিকার সাবানাহ, ভারতের জোহরলাল নেরু, পানামার কোলন, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, ভিয়েতনামের চাই মেপ, ওমানের সালালাহ, জাপানের টোকিও বন্দর, ব্রাজিলের সন্তোষ, মিশরের পোর্ট সেইড, চায়নার কিঞ্জহও, ইন্দোনেশিয়ার তানজুং পেরাক, চায়নার পুজহও, কানাডার ভ্যানকাওভের বন্দর রয়েছে। আরও রয়েছে আমেরিকার ফেলিক্স স্টেওয়ি, চায়নার ডংগুয়ান, আমেরিকার সিটেল, চায়নার ইয়ানতাই, সাউথ কোরিয়ার ইঞ্চিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী, ইতালির জিওয়িয়া টাউরো বন্দর, পানামার বালবোয়া, কলোম্বিয়ার কার্টাজেনা, চায়নার টেংশান বন্দর, চায়নার নেনজিং, আমেরিকার হোস্টন, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, স্পেনের বার্সেলোনা, মেক্সিকোর মানজানিলো, তুর্কির আমবার্লি, চট্টগ্রাম বন্দর (৬৭ তম), আমেরিকার ভির্জিনিয়া, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ভার্জিনিয়ার ইয়োকোহামা, জাপানের কুবে, সাউথ আফ্রিকার দুর্বান, ইতালীর জিনোয়া, জাপানের নাগোয়া, আমেরিকার ওয়াকল্যান্ড, মাল্টার মার্সাক্সলক, ফ্রান্সের লে হাব্রে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী, জাপানের ওসাকা, আমেরিকার চার্লেসটোন, চায়নার কুয়ানজও, পেরুর চাল্লাও, সাউথ কোরিয়ার ইয়োসু জাংইয়াং, সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ, রাশিয়ার এসটি পিটার্সবার্গ, পাকিস্তানের করাচি, ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকুইল, চায়নার হাইকও, চায়নার জিয়াজিং, তুর্কির মার্সিন, পোল্যান্ডের জিডাংস্ক, চায়নার নানটং, সৌদি আরবের দাম্মাম, জায়নার জুহাই, তাইওয়ানের তাইচুং, যুক্তরাজ্যের সাউথ্যাম্পটন, তুর্কির ইজমিথ, টোগোর লোমে, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দর ও সবশেষ শততম অবস্থানে রয়েছে চায়নার জিনজোও বন্দর।
# ২৪.০৮.২০২১ #