চলমান সংবাদ

হারানো সন্তানকে চিনিয়ে দিল ডিএনএ, ৮ মাস পর মিলল লাশ

ঘর থেকে অভিমান করে বের হয়ে গিয়েছিলেন আজিজুর রহমান। অভিমানী ছেলেকে এরপর থেকেই খুঁজছিলেন বাবা মো. নুরুল আমিন। কিন্তু দিন, সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে গেলেও সন্তানকে আর ফিরে পাননি তিনি। অবশেষে ৮ মাস পর মিলল তার সন্তান। তবে জীবিত নয়, মৃত। গত ডিসেম্বরে নগরের ঝর্ণাপাড়া এলাকার জোড়ডেবা নামক পুকুরে ডুবে মারা যান আজিজ। এরপর বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। এদিকে সন্তান নিখোঁজের ডায়েরি করেন বাবা মো. নুরুল আমিন। পুকুরে ডুবে মৃত্যুর কারণে লাশ অনেকাংশ ফুলে ও বিকৃত হয়ে গিয়েছিলো। আজিজের ছবি থাকলেও সেই ছবিতে তাকে চেনা যাচ্ছিল না। তাই ডিএনএ টেস্ট করানো হয়। অবশেষে গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) আসে সেই টেস্টের ফলাফল। তাতে বাবার সাথে ৯৯.৯৯ শতাংশ মিলে যায় আজিজের ডিএনএ। এভাবেই সন্তানের খোঁজ পান বাবা মো. নুরুল আমিন, কিন্তু ততোদিনে সন্তান চলে গেছে না ফেরার দেশে। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘পুকুরে ডুবে আজিজের মৃত্যু হয়। কিন্তু তখন তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। বেওয়ারিশ হিসেবে তখন লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। এদিকে সন্তান নিখোঁজের ডায়েরি করেন মো. নুরুল আমিন। আজিজের ছবি থাকলেও সেই ছবিতে চেনা তাকে যাচ্ছিল না। তাই ডিএনএ টেস্ট করানো হয়। অবশেষে গতকাল আসে সেই টেস্টের ফলাফল। তাতে বাবার সাথে ৯৯.৯৯ শতাংশ মিলে যায় আজিজের ডিএনএ।’ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সহকারী পরিচালক সেলিম নাসের বলেন, ‘যার কেউ নেই, তার জন্য আছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। শুধু ওই ব্যক্তির লাশ নয়, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৪০টি বেওয়ারিশ লাশ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে কবর ও সৎকার করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গোসল ও কাফন পরানো হয়। অনুষ্ঠিত হয় জানাজাও। পরে নগরের চৈতন্য গলি কবরস্থানে শেষ ঠাঁই হয় ওই বেওয়ারিশ লাশের।’

# ১৭.০৮.২০২১ চট্টগ্রাম #