চলমান সংবাদ

শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৩ তম  ফাঁসি দিবসে শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের আলোচনা সভা

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ  শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর   ১১৩ তম ফাঁসি দিবস উপলক্ষে পাহাড়তলীস্থ পাঠানপাড়ার নিজ কার্যালয়ে   শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যেগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঠাগারের সংগঠক ড্যানি বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে ও নিশান রায়ের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইমরান চৌধুরী, দুর্বার দেবনাথ,শুভ দেবনাথ,সৌমেন দাশ,হৃতিক দাশ প্রমুখ।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অকুতোভয় কিশোর সৈনিক শহীদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর আত্মত্যাগে বৃটিশদের শাসনের ভিত নড়ে উঠেছিল। বৃটিশদের শাসনের ফলে ভারতের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে; লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে-অর্ধহারে এবং বৃটিশদের অত্যাচারে অকালে মৃত্যুবরণ করে। দেশের এই অবস্থা দেখে ক্ষুদিরাম বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। তার ছিল একটাই মূলমন্ত্র – ‘সাদা ভূত দেশ থেকে তাড়াতে হবে।’ কলকাতায় অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার আদেশ পড়েছিল ক্ষুদিরাম ও প্রফুলস্ন চাকীর উপর। ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও ক্ষুদিরাম ও প্রফুলস্ন চাকী সে দায়িত্ব সাহসিকতার সাথে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে কিংসফোর্ড বেঁচে গেলেও বৃটিশদের প্রহসনের বিচারে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট বিপ্লবী ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়। আলোচনা  সভার আগে শহীদ ক্ষুদিরামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।