চলমান সংবাদ

বিভাগীয় প্রধানদের সভায় চসিক মেয়র

– একটি পয়সাও অপচয় ও নয়-ছয় হতে দেয়া যাবে না

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রাতিষ্ঠানিক অভ্যন্তরীণ আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় ও চলমান কার্যক্রমের সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রাজস্ব আদায় ও নাগরিকদের কর দিয়ে চসিকের যাবতীয় কর্মকা- ও কার্য নির্বাহ সম্পাদন হয়। তাই এই প্রতিষ্ঠানের একটি পয়সাও অপচয় ও অপব্যবহারের সুযোগ নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নিকট অতীতে চসিক নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু কি কারণে আয়বর্দ্ধক প্রকল্পগুলো কে, কেন লোকসান গুণতে হচ্ছে এবং অনেক সেবা প্রতিষ্ঠান বোঝায় পরিণত হলো। এর জবাব সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দিতে হবে এবং বসে যাওয়া আয়বর্দ্ধক প্রকল্পগুলো পুনরুজ্জীবিত করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ মেয়রের অফিস কক্ষে বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে বিভাগীয় কার্যক্রম বিষয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সহজেই স্পষ্ট হয়েছে যে, কোন-কোন বিভাগে ও শাখায় প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নেই। আবার কোন কোন বিভাগ ও শাখায় অপ্রয়োজনীয় বাড়তি জনবলের আধিক্য রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সেবা কার্যক্রমের জন্য আবশ্যক সরঞ্জাম ও সামগ্রী নেই। আবার এও দেখা যাচ্ছে অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সামগ্রী অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। অকেজো অনেক যানবাহন আছে যে-গুলো মেরামতের নামে অর্থ অপচয় হচ্ছে, এমনকি এগুলোর জন্য জ¦ালানী সরবরাহ হচ্ছে। এভাবেই অপচয়ের মাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থকতে দেয়া যায়না। এভাবে কিছুতেই একটি সরকারি সেবা সংস্থা চলতে পারে না। মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির লালবাতি জ¦ালানোর জন্য শস্যের ভিতরেই ভুত রয়েছে। এই ভুত আমাদেরকে তাড়াতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, চসিকের সিএনজি ফিলিং স্টেশনটি সবচেয়ে বড় আয়বর্দ্ধক প্রতিষ্ঠান ছিলো। এখান থেকে গ্যাস নিতে এক সময় আলমাস সিনেমা, ব্যাটারী গলি হয়ে পল্টন রোড পর্যন্ত যানবহনের লাইন পড়তো। কিন্তু এখন এটা লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং আয় ছাড়াই কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। প্রায় সকল আয়বর্দ্ধক প্রকল্পের একই অবস্থা দৃশ্যমান। এখন থেকে এই প্রকল্পগুলোর আয়-ব্যায়ের হিসেব নিজেদের কাছেই থাকবে এবং কর্পোরেশনের হিসাব শাখায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। একই ভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের জবাব দিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান রাক্ষায়র দায়-দায়িত্ব শিক্ষক-কর্মচারীদেরই নিতে হবে। তিনি মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে যে অসঙ্গতি, ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা অনুসৃত না হলে দায়িত্ব প্রাপ্তদের কৈফিয়ত দিতে হবে। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনা সংক্রমাণের উচ্চহার বৃদ্ধি মোকাবেলায় অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যাতে কোন ব্যাত্যয় সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, অতিঃ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু প্রমুখ।

# ০৫.০৮.২০২১ চট্টগ্রাম #