চলমান সংবাদ

মশক নিধনে চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ইতোমধ্যে নগরে শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধনে ত্রিশ দিনের বিশেষ ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী মাসব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়। নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি প্রতিদিন ৪টি ওয়ার্ডে ১০০ জন মশকনিধন কর্মী ওষুধ ছিটাবেন। ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন করে ৩ দফায় ওষুধ ছিটানো হবে। বুধবার (৪ আগস্ট) শুলকবহর ওয়ার্ডের বিপ্লব উদ্যানে এই বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। পদ্ধতিগত ও গুণগত পরিবর্তনের ফলে এবারের মশা মারার কর্মসূচি সফল হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, নগরে মশক নিধন একটি প্রধান সেবামূলক কার্যক্রম। এতদিন যে পদ্ধতিতে যে ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল তাতে নানা ধরনের ক্রটি ও অসঙ্গতি ছিল। ব্যবহৃত ওষুধও অকার্যকর ছিল। তিনি বলেন, প্রায়ই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং এখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী। মেয়র বলেন, মশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়। নালা-নদর্মায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এ দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। মেয়র বলেন, ফগার মেশিন কাজ করছে না বিষয়টি এমন নয়। গবেষকরা বলছেন, যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হতো দিয়ে মশা মরার কার্যকারিতা কম। চবির গবেষক দলকে আমরা কিছু ওষুধ দিয়েছিলাম। তার মধ্যে কিছু ওষুধ ভালো কাজ করছে। যে ওষুধ দিয়ে ৮৫ ভাগ মশা মারা যাবে। স্প্রে’র মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়। দ্রুত স্প্রে করার জন্য ২০টি ‘টু স্ট্রোক ইঞ্জিন’ চালিত মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন সংগ্রহ করেছি। এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও সংগ্রহ করা হবে।
# ০৪.০৮.২০২১ চট্টগ্রাম #