চলমান সংবাদ

কোভিড ভ্যাকসিন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে যাওয়ার পর টিকা নিলে অ্যান্টিবডি বেশি হয় – গবেষণা

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের শরীরে অন্যদের তুলনায় বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো উপাচার্য ডা. মো. জাহিদ হোসেন যিনি এই গবেষণাটি পরিচালনাকারীদের একজন তিনি বলেন, “যারা কোভিড-১৯ ইনফেকশন হওয়ার পরে যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।”

মি. হোসেন জানান, এ বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত কোভিডের টিকা নেয়া ২০৯ জনের উপর এই গবেষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের উপর গবেষণা চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে ৩১% অংশগ্রহণকারী টিকা নেয়ার আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর ৬৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী কোভিডে আক্রান্ত হননি। এর মধ্যে যাদের কোভিডের ইতিহাস ছিল তাদের মধ্যে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

গবেষণায় আরো জানা যায়, যারা দুটি ডোজ টিকা নেয়া সম্পন্ন করেছেন তাদের অন্তত ৯৮% মানুষের দেহে রোগটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

বাকি ২% মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। তবে এই দুই শতাংশ মানুষের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল বলে জানান অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, যে ৫-৬ জনের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি তাদের একজনের বয়স ৯৩ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া কেউ কেউ ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে।

যাদের উপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে এদের সবার বয়স ৪০ থেকে শুরু করে ৯৩ বছর পর্যন্ত। গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন তারা সবাই এর তিন মাসে টিকা নিয়েছেন বলেও জানানো হয়। এদের মধ্যে চার ভাগের তিন ভাগই পুরুষ এবং স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত। তবে সময়ের সাথে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি কম বেশি হয় কিনা সে বিষয়ে জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ করে টিকা নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ জন।আর চীনের সিনোফার্মের ই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৩৬ জন।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা