চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত-মৃত্যু বেড়েছে

-একদিনের ব্যবধানে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ

চট্টগ্রামে করোনা রোগীর মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা ফের বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। একইসময়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে দেড়গুণ। সর্বশেষ রোববারের প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে একদিনে ৯৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একইসময়ে মারা গেছেন ১১ জন করোনা রোগী। এর আগে শনিবারের প্রতিবেদনে একদিনে ৬০০ জনের করোনা শনাক্ত ও ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। চলতি জুলাই মাসে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। এই মাসেই একের পর এক রেকর্ড হয়েছে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু। গত ১৮ দিনে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৪৪ জন। মারা গেছেন ১৩৪ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত গত ১ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৮ দিনে ৩৬ হাজার ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ৩৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ১৪ জুলাই চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড গড়ে। এইদিন আক্রান্ত হয় ১ হাজার তিন জন। রোববার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৮৬২ নমুনা পরীক্ষায় ৯৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৩৯ জন নগরের এবং ৩০৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একইসময়ে মারা গেছেন ১১ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে ২ জন নগরের এবং ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এ নিয়ে মোট ৭০ হাজার ৯০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৩৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কোরবানির পশুর হাট ও বাড়ি ফেরা মানুষের কারণে সংক্রমণ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। চলতি জুলাই মাসের বাকি দিনগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। এতদিন উপজেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের উত্তর অংশের উপজেলাগুলোতে করোনা শনাক্তের হার বেশি ছিল এবং দক্ষিণ অংশে তুলনামূলক কম শনাক্ত হচ্ছিল। তবে গতকাল দক্ষিণের চার উপজেলায় হঠাৎ একযোগে পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে গতকাল সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণের পটিয়া উপজেলায় ৪৫ জন। পটিয়া ছাড়াও দক্ষিণের আরও যে ৩ উপজেলাতে একযোগে শনাক্ত বেড়েছে সেগুলো হলো- বোয়ালখালীতে ৪০, চন্দনাইশে ২৬ জন, বাঁশখালীতে ১৮ জন। অন্যদিকে সীতাকুন্ডে ১৭ জন, হাটহাজারীতে ২৮ জন, রাউজানে ৪২ জন, ফটিকছড়িতে ২৭ জন, মিরসরাইয়ে ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮ জন, আনোয়ারায় ৩ জন, সন্দ্বীপে ১৩ জন, লোহাগড়াতে ৮ জন, সাতকানিয়াতে ৮ জন।

# ১৮.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম #