চলমান সংবাদ

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

নগরীতে একটি স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্কুলের আঙিনায় বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় ওই যুবদল নেতা প্রধান শিক্ষককে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং লাঞ্ছিত করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার (৩ জুলাই) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার মনসুরাদাব খান বাড়ি থেকে মো. হারুন (৫০) নামে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি। পুলিশ জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নগরীর মনসুরাবাদ খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয় আঙিনায় বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ার পরও জোর করে তারা আয়োজন করে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে সেই আয়োজন ভন্ডুল করেন। গত ৩০ জুন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে হুমকি দেন ও লাঞ্ছিত করেন যুবদল নেতা হারুন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হারুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- হারুনের বড় ভাই মো. একরাম মিয়া (৫৫), হারুণের অপর ভাই জানে আলম (৫৭), একই বাড়ির মো. প্রিন্স (৩৭) ও মো. আল নাহিয়ান (২২)। একরাম স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে আছেন। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত ২৫ জুন একরামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এজন্য তারা স্কুলের অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়েছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল ইকবাল শফি ও প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের কাছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তারা বিয়ের আয়োজনের অনুমতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপরও ২৫ জুন জোরপূর্বক স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ওসি মহসীন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় হারুন ও তার ভাইয়েরা চরম ক্ষুব্ধ হন। হারুন প্রথমে স্কুলের এক শিক্ষককে এবং পরে প্রধান শিক্ষককে ফোন করে স্কুলে না আসার জন্য হুমকি দেন। গত ৩০ জুন হারুন, একরাম ও জানে আলম লোকজন নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন ডবলমুরিং থানা শিক্ষা কর্মকর্তা। হারুন সবার সামনে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। তখন কৌশলে শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। স্কুলের সিসি ক্যামেরায়ও এর ধারণ করা দৃশ্যে সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন মামলা দায়ের করলে পুলিশ হারুনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

# ০৪.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম #