চলমান সংবাদ

কমরেড জেয়াদ আল মালুম তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন’ – স্মরণসভায় বক্তারা

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জেয়াদ আল মালুমের স্মরণসভা গতকাল (৩ জুলাই, ২০২১) তারিখ রাত ৮ টায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভাটি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের ফেসবুক পেইজে লাইভ করা হয়। ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আলোচনা করেন কমরেড জেয়াদ আল মালুমের সহধর্মিণী ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝরা, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ প্রমুখ।
স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত জেয়াদ আল মালুমের স্মরণে যে যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু কমরেড জেয়াদ আল মালুমের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক এবং কর্মজীবনের স্মৃতির প্রতি আলোকপাত করেন।
কমরেড জেয়াদ আল মালুমের সহধর্মিণী ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝরা বলেন, “জেয়াদ আল মালুম তাঁর আদর্শ ও সংগঠনের প্রতি সর্বদা নিবেদিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জেয়াদ আল মালুমকে আপনারা যেভাবে ভালোবেসেছেন আগামীদিনে আমাদের পরিবারের যেকোন বিপদে-আপদে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা রাখি।”
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, “প্রিয় সহকর্মী জেয়াদ মালুমকে হারানো এক বিরাট ধাক্কা। জেয়াদ আল মালুম আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। আদর্শ ও সংগঠনের প্রতি তাঁর অনেক ভালোবাসা ছিল। এত তাড়াতাড়ি কমরেড মালুম চলে যাবেন তা ভাবতে পারি নাই। তাঁকে হারিয়ে বিরাট ধাক্কা খেয়েছি।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “কমরেড জেয়াদ আল মালুমের সাথে অনেক স্মৃতি। দক্ষ সংগঠক ছিলেন, নিজ এলাকায় পার্টি গড়ে তুলতে তিনি কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্র আন্দোলন শেষ ক্ষেতমজুর আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। ক্ষেতমজুরদের সংগঠিত করেছেন। সর্বত্র তাঁর দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। কমরেড জেয়াদ আল মালুমের মৃত্যু এদেশের বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। নতুন প্রজন্ম কমরেড জেয়াদ আল মালুমের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাবে। কমরেড জেয়াদ আল মালুম তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন। কমরেড জেয়াদ আল মালুম লাল সালাম।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, “কমরেড জেয়াদ আল মালুম তাঁর নীতি-আদর্শ এবং সংগঠনের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দেশমাতৃকাকে ভালবেসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সারাদেশে পার্টি বিস্তারে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তিনি কোন ধরনের ছাড় দেন নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কারণেই তিনি ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছেন। কমরেড জেয়াদ আল মালুমকে হারানো পার্টির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”