১৫৯ জন কর্মী ছাঁটাই এর প্রতিবাদে গ্রামীণ ফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের

গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ করোনা মহামারীর শুরুর দিকে বিগত বছরের ৩১শে মে  হতে টেকনোলজি ও কমার্শিয়াল ডিভিশনের ১৮০ জন কর্মীকে তাদের স্থায়ী কাজ থেকে অপসারন করে কর্মহীন করে রাখে এবং এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে গত ২০ শে জুন গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ ১৫৯ জন দক্ষ কর্মীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করে। তৎক্ষণাৎ গ্রামীণফোন এর সকল এমপ্লয়ীরা এই ছাঁটাই এর তীব্র নিন্দা জানায় প্রতিবাদ জানায়।   এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৬ শে জুন গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ও পরবর্তীতে জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয় ।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন সভাপতিত্ব করেন জিপিইইউ এর সহ সভাপতি তানভীর তিমির। মূল বক্তব্য পাঠ করেন গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোঃ শফিকুর রহমান মাসুদ। এ সময় জিপিইউ এর এক্সিকিউটিভ কমিটি সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও  শত শত কর্মী উপস্থিত ছিলেন । উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দও এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বক্তব্য প্রদান করে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইদ্রিস আলী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, প্রকাশ দত্ত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, আশিকুল, সহ সভাপতি, নির্মান শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, আহসান হাবিব বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ও সদস্য সচিব, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), আমজাদ আলী খান, প্রেসিডেন্ট, ইউনি বাংলাদেশ লিয়াজো কাউন্সিল (UNI BLC) , মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শহিদুল্লাহ চৌধুরী, যুগ্ন সমন্বয়ক, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) ও সভাপতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গোলাম মাহমুদ সোহাগ, প্রেসিডেন্ট, বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন।

বক্তারা অতিসত্বর বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত ১৫৯ জন শ্রমিককে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান। তারা বলেন আন্দোলনের ঢেউ ক্রমশ প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। সময় থাকতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করে তাদের ভুল শুধরে নিবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

জিপিইইউ এর সাধারণ সম্পাদক  মিয়া মোঃ শফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, আমাদের আন্দোলন ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।  যদি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ অতিসত্তর এই সকল কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহাল না করে তাহলে বাংলাদেশের সকল শ্রমিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে জিপিইইউ যে আন্দোলন গড়ে তুলবে তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে এবং তীব্র লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত সকল শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হবে।