চলমান সংবাদ

প্রাইভেট কার নিয়ে এসে মোটর সাইকেল নিয়ে চম্পট

প্রাইভেট কার নিয়ে এসে মোটর সাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া যুবক মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। গত ২৩ মে এক মেরিন প্রকৌশলীর কাছ থেকে মোটরসাইকেল কিনেত এসে ট্রায়াল দেয়ার নাম করে সেটি নিয়ে চম্বট দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২২ জুন মঙ্গলবার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়ে জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইপিজেড পুলিশ। এরপর স্থানীয় আল মক্কা ভবনে অভিযান চালিয়ে হাতিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। এই ব্যাপারে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজুর রহমান লোভের বশবর্তী হয়ে এই কাজ করেছে আর বিশ্বাস জন্মাতে প্রাইভেটকার ভাড়া করে গিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তবে এই বিষয়ে আরো তথ্য জানতে দুইদিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল (২৩জুন) আদালত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বন্দরটিলা নেভি হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তিন মাস আগে দেশে এসে শখের বশে একটি মোটরসাইকেল কেনেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি জাহাজে ফেরার আগে গত ২১ মে ফেসবুকে মোটরসাইকেলটি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। যোগাযোগের জন্য তিনি নিজের মোবাইল নম্বরও দেন। ফেসবুকের এই বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেলটি হাতানোর পরিকল্পনা করে মোস্তাফিজুর রহমান। গত ২৩ মে মোস্তাফিজুর প্রাইভেট কারে করে মোটরসাইকেল মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে আসে। কিছু¶ণ কথাবার্তার পর ট্রায়াল দেয়ার কথা বলে মোস্তাফিজুর মোটরসাইকেলটি নিয়ে উধাও হয়ে যান। প্রায় আধাঘণ্টা পরও ফিরে না আসায় সাইকেলের মালিক কারের চালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেট কার চালক নির্দোষ প্রমাণিত হলে পুলিশ তার কাছ থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল নাম্বার নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে সিম ট্র্যাকিং করে মোস্তাফিজুরের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোস্তাফিজুর রহমানের (২৪) বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়। তিনি স্নাতক পাস বলে জানিয়েছে পুলিশ।
#
২২.০৬.২০২১/চট্টগ্রাম#