চলমান সংবাদ

জঙ্গি কানেকশনে গ্রেপ্তার মজসিদের খতিব শামীম তিন দিনের রিমান্ডে

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার নগরের ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ শামীমুর রহমান প্রকাশ শামীম হুজুরকে (৪৩) তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ আদেশ দেন। মামলার বাদী সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই রাসিব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার বিকেলে আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াতের দেওয়া তথ্যে শামীমকে ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। শামীমুর রহমান (৪৩) ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব এবং স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক। তিনি ২০ বছর ধরে ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত কওমি মাদরাসাটিতে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। শামীমের বাড়ি গোপালগঞ্জে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত খতিব শামীমের বাসায় আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক বৈঠক হত। এসব বৈঠকে থাকতেন সাখাওয়াতও। সিরিয়ায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পর সাখাওয়াতের সঙ্গে আবারও শামীমের বৈঠক হয় বাসায়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সিরিয়াফেরত ‘জঙ্গি’ শাখাওয়াত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ শামীমুর রহমানের নাম প্রকাশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাখাওয়াত হোসনে ওরফে লালু ২০১২ সালে তাঁর ভায়রা মো. আরিফ ও মো. মামুনের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। সংগঠনের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ অন্যদের মাধ্যমে জিহাদি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। এরই অংশ হিসেবে সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নিতে ২০১৭ সালে তুরস্কে যান। তুরস্ক থেকে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় ঢুকে ছয় মাস ‘হায়াত তাহরির আরশাম’-এর কাছ থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন। পরে ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে সিরিয়া থেকে সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্ক হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যান। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে পুনরায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত মার্চে ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফিরে পুনরায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। দেশে থাকাকালীন জঙ্গি সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিঘ্ন করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে নানা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

# ১৬/০৬/২০২১ চট্টগ্রাম #