চলমান সংবাদ

সাবেক মন্ত্রীপুত্রকে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ, কেজিডিসিএল’র দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার

সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) বর্তমান মহাব্যবস্থাপকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ জুন বৃহস্পতিবার আগ্রাবাদ এলাকা থেকে কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন ও সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার অপর আসামিরা হলেন- কেজিডিসিএল’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপনন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সার্ভেয়ার দিদারুল আলম ও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ পাওয়া গ্রাহক সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ছেলে মুজিবুর রহমান। চট্টগ্রাম দুদক সম্মিলিত-১’র কর্মকর্তা শরীফ উদ্দীন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। এই ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দীন বলেন, একজনের নামে সংযোগকৃত ১৮টি গ্যাস চুলার মধ্যে ১২টি চুলা দুর্নীতির অনিয়মের মাধ্যমে অপর গ্রাহককে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় কেজিডিসিএল’র বর্তমান এবং সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার হয়েছেন। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা এজাহারে উল্লেখ, হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের নামে (বতমানে মৃত) বরাদ্দকৃত ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার সংযোগ ছিল। এর থেকে ৬টি দ্বৈত চুলা রেখে বাকি ১২টি দ্বৈত চুলা চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। মৃত সালামের স্ত্রী নুরজাহান সালামের নামে ভুয়া চুক্তিনামা বানিয়ে  পরে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়। তবে মৃত সালাম এবং মুজিবুর রহমানের গ্রাহক সংকেত আলাদা। এ অবস্থায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুর রহমানের নামে সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে মোট ২২টি অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরের ২৫ তারিখ আবাসিক খাতে স্থানান্তরের নিরুৎসাহিত করুন মর্মে আবেদনটি কেজিডিসিএলের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়-দক্ষিণ) প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসেন আবেদনটি ফিরিয়ে দেন। পরে তিনি ১৮টি অব্যবহৃত চুলার গ্রাহক মৃত এম এ সালামের স্ত্রী নুরজাহান সালামের নাম ব্যবহার করে ভুয়া আবেদনপত্র ও জাল দলিল তৈরি করেন। এসব ভুয়া আবেদনপত্র ও জাল দলিল সার্ভেয়ার মো. দিদারুল আলম জরিপ করেছেন মর্মে স্থানান্তরের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়-উত্তর) চুলাগুলোর চাহিদাপত্র প্রদানের অনুমতি দেন। এই প্রেক্ষিতে দ্বৈত চুলাগুলো মো. মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তরের জন্য অনুমোদন লাভ করে। # ১০.০৬.২০২১/চট্টগ্রাম#