মধ্যরাতে বাসায় অক্সিজেন পৌঁছে বৃদ্ধের জীবন বাঁচিয়েছে পুলিশ
তখন গভীর রাত ১ টা। এলাকার লোকজন প্রায় ঘুমিয়ে। দোকানপাটও বন্ধ। সেই মধ্যরাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন সরকারের (৮৫)। তাঁর একমাত্র ছেলেও চট্টগ্রামের বাইরে। এমন অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েন জয়নাল আবেদীন। কোনো উপায় না দেখে তিনি ফোন করেন থানায়। খবর পেয়ে সঙ্কটময় মুহূর্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় সেই বৃদ্ধের বাসায় হাজির হয়ে যায় পুলিশ। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়। শুক্রবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে জয়নাল আবেদিনের বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয় ডবলমুরিং থানা পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সরকার রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম রিজিওনাল ম্যানেজার ছিলেন। তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী। শুক্রবার (৪জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার হঠাৎই শ্বাসকষ্ট উঠে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে আসে। তখনই অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার সন্তান সরোয়ার আলম সরকার থাকেন ঢাকায়। আবার এত রাতে সব দোকানও বন্ধ। উপায় না দেখে তখনই তিনি ফোন করেন থানায়। সাথে সাথেই পুলিশ অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তার বাসায় চলে যায়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে অক্সিজেন দিয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ থানায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি। ফোন করলে পুলিশ নিজেই বাসায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এর আগেও বেশ কয়েকজন শ্বাসকষ্টের রোগিকে বাসায় অক্সিজেন পৌঁছে জীবন বাঁচিয়েছে নগর পুলিশ সদস্যরা। # ০৫.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #