চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনে জুয়ার আসর পুলিশি অভিযানের পর সিলগালা, তদন্ত কমিটি গঠন

 নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনে জুয়ার আসরে পুলিশি অভিযানের পর কার্যালয়টি বন্ধ করে দিয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা-সিজেকেএস কর্তৃপক্ষ। নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গ্যালারিতে অবস্থিত চট্টগ্রাম ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার ও পৌনে সাত লাখ টাকা জব্দ করে পুলিশ। এর পরপরই ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যলয়টি সিলগালা করে দেওয়া হয়। জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। সেটির ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ওই কার্যালয় কাউকে প্রবেশ না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ টাঙানো হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, যে কক্ষটি ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিতে আলাদা সিঁড়ি তৈরি করে দোতালা করা হয়েছে। সেখানে বসেই জুয়া খেলেন বিভিন্ন লোকজন। চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গ্যালারির দ্বিতীয় তলায় যেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়, সেখানে ক্রিকেট অ্যাম্পায়র্স অ্যাসোসিয়েশন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদেরও কার্যালয় রয়েছে। সেখানে দুটি কক্ষ নিয়ে ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় চলছিল। ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সম্প্রতি চট্টগ্রামে ফুটবল ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। অ্যাসোসিয়েশনের একটি কক্ষকে ফুটবল ট্রেনিং একাডেমির অস্থায়ী কার্যালয় বলা হলেও মূলত সেটিতে রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানেও সেখানে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তবে সেসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। # ০২.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #