চলমান সংবাদ

মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ

নবজাতক শিশু

প্রসব বেদনায় কাতর মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না। নগরীর বিশ্বরোডস্থ নয়াবাজারের কাঁচা বাজারের সামনে সড়কে-ফুটপাতে তার বসবাস। প্রসব যন্ত্রণায় কাতরানোর দৃশ্য দেখার পর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে এক যুবক ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। কন্ট্রোল রুম থেকে বিষয়টি জানানো হয় হালিশহর থানায়। পুলিশ খবর পাওয়ার সাথে সাথে মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ প্রসূতি নারীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছেলে। কিন্তু নারীর ভারসাম্যহীন আচরণের কারণে অনিরাপদ হয়ে পড়ে সদ্যোজাত শিশুটি। এমনকি প্রসূতির চিকিৎসাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত এক দম্পতির বদান্যতায় আপাতত তাদের কাছেই ঠাঁই হয়েছে নবজাতকের। আর তাকে জন্ম দেওয়া নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানসিক রোগের ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় দেখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘লাইটহাউস কনসোর্টিয়ামের’ পরিচালক সুমন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ ফোন করেন। সংবাদ পেয়ে হালিশহর থানার এসআই সতেজ বড়ুয়া নয়াবাজার বিশ্বরোডের কাঁচাবাজারের সামনে থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে লাইটহাউসের এক নারী কর্মীর সহায়তায় স্থানীয় ব্র্যাক মেটারনিটি সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি করানোর পর ওই নারী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। ‘সন্তান প্রসবের পর পুলিশ সদস্যরা লাইটহাউজ কনসোর্টিয়ামের কর্মী শারমিনের তত্ত্বাবধানে নবজাতক ও প্রসূতির উন্নত চিকিৎসার জন্য আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। শিশুটির দেখভালের জন্য আপাতত স্থানীয় এক দম্পতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ উদ্ধারকারী এসআই সতেজ বড়ুয়া বলেন, ‘মা ও শিশু হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই নারীর জ্ঞান ফেরে। এরপর সে মানসিকভাবে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। ডাক্তার-নার্সরা কেউ কাছেই ঘেঁষতে পারছিলেন না। নবজাতককেও চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছিল না। তখন আমাদের অনুরোধে নয়াবাজার এলাকার দম্পতি নবজাতককে আপাতত তাদের হেফাজতে নেন। নবজাতক এখন সুস্থ আছে। হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশের টিম। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে মানসিক রোগের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। নবজাতকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নেওয়া হবে। # ০৮.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #