চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা ছিল গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের

চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই গতকাল সোমবার (১৬ মে) রাতে কোতোয়ালীর টেরিবাজার এলাকার ‘আল বয়ান’ নামের এক রেস্তোঁরায় বসেছিল ৪৯ নেতাকর্মীর রুদ্ধদ্বার গোপন বৈঠক। সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা আবুল মনছুর, কোতোয়ালী থানা জামায়াতের আমির মো. ফরিদুল আলমসহ জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় ৪৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গ্রেফতার ৪৯ জনের মধ্যে নয় জন জামায়াত ইসলামীর বিভিন্ন পদে থাকা সক্রিয় নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার বাকি ৪০ জনের মধ্যে অর্থ যোগানদাতা এবং সক্রিয় কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। কয়েক বছর ধরে আড়ালে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করাকে পুঁজি করে মঙ্গলবার (১৭ মে) চট্টগ্রাম জুড়ে নাশকতার মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে আসার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানায়, সেই পরিকল্পনা প্রণয়নে সোমবার (১৬ মে) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার টেরিবাজারে ‘আল বয়ান’ নামে একটি ভাতের হোটেলে তারা বৈঠকে বসেছিলেন।গ্রেফতার জামায়াতের পদবিধারী নয় নেতা হলেন- কোতোয়ালি থানা শাখার আমির ফরিদুল আলম (৪৭), একই থানার দক্ষিণ শাখার প্রধান সমন্বয়কারী ফরিদ উদ্দিন (৪৪), বায়তুল মাল সম্পাদক নুরুল কবির (৬৫), দফতর সম্পাদক এমদাদ উল্ল্যাহ (৩৪), নগরীর বক্সিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ (৩৫), টেরিবাজার শাখার সভাপতি হুমায়ুন কবির (৫০), কাটাপাহাড় শাখার সভাপতি রাশেদুল করিম (৩৪) ও সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম (৩৮) এবং ইমাম ম্যানশন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইসরাফিল (৫০)। এছাড়া টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা আবুল মনছুর (৫০) ও ৩৯ জন কর্মী-সমর্থককে বৈঠক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে এমন ১১৬ ধর্মীয় বক্তাদের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তারই প্রতিবাদে চট্টগ্রামে নাশকতার হামলা চালানোর পরিকল্পনা কষে জামায়াত-শিবিরের এই নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, ‘তাদের প্রি-প্ল্যান ছিল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালানো। সকাল ৬টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টার যেকোনো সময়ে তারা নাশকতা চালানোর একটা পরিকল্পনা করেছিল। তাদের সেই বৈঠক চলাকালীন সময়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরমধ্যে ১৭ জন জামায়াতের আমিরসহ পদধারী নেতা আছেন আবার কেউ কেউ জামায়াত শিবিরের সক্রিয় কর্মী আছেন। কেউ কেউ তাদের নাম পরিচয় গোপন রেখেছে। তাই এখন বাকিদের নাম পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করা হয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’ # ১৭.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #