un

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেনা বিদ্রোহস্থল চট্টগ্রামের হালিশহরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়ন যুব ইউনিয়নের মানববন্ধন


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের নিরস্ত্র-নিরীহ জনগণের উপর অপারেশন সার্চ লাইট চলাকালে ইপিআরের বাঙালি সৈন্য ও অফিসারদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহস্থল চট্টগ্রামের হালিশহরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন। গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নগরের হালিশহর বিডিআর মাঠের সামনে ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়ন হালিশহর থানার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। যুব ইউনিয়ন হালিশহর থানার আহবায়ক ইন্তেখাব সুমনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য প্রীতম দাশ, চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি রুপন কান্তি ধর, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি টিকলু কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শোভন দেবনাথ, যুব ইউনিয়নের মেহেদী মিন্টু, ছাত্রনেতা ড্যানি বিশ্বাস, ছাত্র ইউনিয়ন পাহাড়তলী থানার সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান রহমান প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৪’র গণভ্যুত্থানকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থানসমূহ নিশ্চিহ্ন করার বা ধ্বংস করার অপপ্রয়াশ চালানো হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম শহরে বাঙালি সেনাদের বিদ্রোহ শুরু হয়।
চট্টগ্রামের হালিশহরের আর্টিলারি থেকে সেনা বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এই বিদ্রোহে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম শহর এলাকায় অবস্থিত ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস্-এর অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
কিন্তু সেই হালিশহরের ওই এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের কোন স্মৃতিস্তম্ভ নেই। হালিশহরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান যুব ইউনিয়ন ও ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।