চলমান সংবাদ

সাইপ্রাসে পাতানো বিয়ে: মানব পাচার চক্রের সন্দেহভাজন ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের অভিবাসীদের অনেকে অনিয়মিত উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের জন্য সাইপ্রাসকে বেছে নেন৷ ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত ২৯ জানুয়ারি ‘অপারেশন টাস্ক ফোর্স লিমাসল’ নামে একটি যৌথ স্টিং অপারেশন পরিচালনা করে সাইপ্রাস, পর্তুগাল ও লাটভিয়ার পুলিশ৷ ইউরোপোল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চক্রের সন্দেহভাজন দুই হোতাকে লাটভিয়া ও পর্তুগাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ আরো ১৩ জনকে সাইপ্রাস থেকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা৷ চক্রটি পাতানো বিয়ের মাধ্যমে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের ইউরোপীয় ইয়নিয়নের দেশগুলোতে ‘অবৈধ অভিবাসনের সুযোগ’ করে দিত বলে বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে৷

ইউরোপলের তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজনরা লাটভিয়া ও পর্তুগালের মেয়েদের নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে সাইপ্রাসে নিয়ে যেত৷ সেখানে তারা তৃতীয় দেশের নাগরিকদের সাথে পাতানো বিয়েতে আবদ্ধ হতো৷ ইউরোপোল বলেছে, ‘‘সন্দেহভাজনরা মূলত ভারত, পাকিস্তান ও পর্তুগালের নাগরিক৷ তারা ফ্লাইটের টিকেট থেকে শুরু করে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট, সবকিছুরই ব্যবস্থা করতো৷’’

সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া ও লারনাকা শহরের টাউনহলে বিয়ের আয়োজন করতো তারা৷ ভারত ও পাকিস্তানের অভিবাসী ছেলেদের সঙ্গে পর্তুগিজ ও লাটভিয়ার মেয়েদের এমন ১৩৩টি বিয়ের তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে৷ পাশাপাশি ভুয়া নথি তৈরি ও সন্দেহজনক লেনদেন তথ্যও পাওয়া গেছে, যার মাধ্যমে অনিয়মিত উপায়ে সাইপ্রাসে অভিবাসীদের প্রবেশে তারা সহায়তা করত বলে পুলিশ সন্দেহ করছে৷

স্টিং অপারেশনে নির্দিষ্ট বাড়িতে হানা দিয়ে সাইপ্রাস থেকে ১৩ জন, পর্তুগাল থেকে একজন ও লাটভিয়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ চারজনকে চক্রের মূল হোতা বলে মনে করা হচ্ছে৷ তার মধ্যে ৩৭ ও ২৪ বছরের দুইজন সাইপ্রাসে আটক রয়েছেন৷ আর পর্তুগাল ও লাটভিয়া থেকে আটক বাকি দুইজনের বয়স ৪৫ ও ৪৬৷

সাইপ্রাসে ১৩ জনকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত৷ পর্তুগাল ও লাটভিয়ার আটকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷

এফএস/আরকেসি (এএফপি, এপি)