চলমান সংবাদ

অভিবাসীদের ‘স্ক্যান’, সমালোচনায় ইইউ তথ্য সুরক্ষা প্রধান

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে আরো কঠোর উদ্যোগ চায় ইইউ | ছবি: এএফপি

অনিয়মিত অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ‘স্ক্যান’ করতে স্বয়ংক্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চেহারা সনাক্তকরণ সফটওয়্যার ব্যবহারের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন জোটটির তথ্য সুরক্ষা প্রধান। তিনি এই পরিকল্পনাকে ‘সমস্যাযুক্ত’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটা যেন অন্যান্য আইনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত না হয়।

স্বাধীনভাবে কাজ করা ইউরোপিয়ান ডেটা প্রোটেকশন সুপারভাইজার (ইডিপিএস) ভোইচেক ভিয়েভিওরোভ্সকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এমন কোনো প্রমাণ নেই যে পরিকল্পনায় নেয়া উদ্যোগগুলো আসলে ন্যায়সঙ্গত।’’

অভিবাসীদের মতো অসহায় পরিস্থিতিতে থাকা মানুষদের স্পর্শকাতর বায়োমেট্রিক ডেটার এধরনের ব্যবহারের প্রভাব মূল্যায়নের ঘাটতির বিষয়টিকে তিনি উদ্বেগজনক মনে করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ইডিপিএস বিবেচনা করছে যে এই পরিকল্পনাকে ভবিষ্যতে মানুষের গোপনীয়তা এবং তথ্য সুরক্ষার উপরে একই রকম প্রভাব ফেলে এমন কোনো আইন তৈরিতে নজির হিসেবে ব্যবহার করা হবে না।’’

ইইউভুক্ত দেশগুলো এবং ইউরোপীয় সংসদ ডিসেম্বরে বেশ কিছু আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে যার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিও রয়েছে।

অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত পথে আসাদের দ্রুত যাচাইবাছাই, সীমান্তে আরো বেশি আটককেন্দ্র, বিতাড়ন প্রক্রিয়া দ্রুত করা এবং সম্মুখভাগে থাকা ইইউর দেশগুলোর উপর থেকে চাপ কমাতে অন্যদের এগিয়ে আসা।

চলতি বছরের জুনের আগে এসব সংস্কারের উদ্যোগ আইন আকারে পাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে অ্যামনেস্টি এবং অক্সফামসহ বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংস্থা এসব পরিবর্তনের সমালোচনা করেছে৷ তারা মনে করছে, এভাবে মানবাধিকার নীতি এবং শরণার্থী আইন বদলে ফেলা হবে।

ইডিপিএস মূলত ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য সুরক্ষা আইন মানছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কাজ করলেও এটির আইনি উদ্যোগ নেয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। তারা শুধুমাত্র পরামর্শ দিতে পারে৷ পাশাপাশি ইউরোপের বিচার আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো মামলা উত্থাপিত হলে সেখানে উপস্থিত হয়ে মতামত জানাতে পারে।

এআই/আরকেসি (এএফপি)