অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস এর সিইও ডঃ আনানথ এন রাও সহ কর্তৃপক্ষকে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান
ডাঃ আরিফ উদ্দিন আহমেদ ইমপেরিয়াল হসপিটালে একজন নিয়মিত পূর্ণকালীন স্থায়ী কর্মচারী। তিনি ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ পত্রে এক বছর পরে তার চাকুরী স্থায়ী করনের কথা উল্লেখ ছিল। এরপর ২০১৮ সালে তিন বছরের চুক্তিতে মেডিক্যাল কোঅর্ডিনেটর হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে তাকে একাডেমিক কোওর্ডিনেটর হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয় এবং মাস্টার হেলথ চেকআপের ইনচার্জ ও মেডিকেল রেকর্ড ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। ইতিমধ্যে ২০১৮ সালের চুক্তির তিন বছর গত ২০২১ সালে অতিক্রান্ত হলেও তিনি চাকরিতে বহাল রয়েছেন। বর্তমানে তিনি একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর, মাস্টার হেলথ চেকআপের ইনচার্জ, মেডিকেল রেকর্ড ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ এবং ইমপেরিয়াল কলেজ অফ নার্সিং এর সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্বরত আছেন।
উল্লেখ্য আইন অনুযায়ী এবং প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম অনুসারে ডাঃ আরিফ উদ্দিন আহমেদ একটি স্থায়ী পদে নিয়োজিত আছেন। এধরনের পদে কোন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নাই। কিন্তু বিগত ৩১/১০/২০২৩ তারিখে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালসের সিইও ডঃ আনানথ এন রাও এবং সিএমও ডাঃ প্রকাশ কে এন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়, যাতে উল্লেখ করা হয় যে তাকে ১লা নভেম্বর ২০২৩ থেকে একটি নতুন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু, আইন অনুযায়ী, তার চাকুরি ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেডে নিয়মিত ও স্থায়ী হিসাবে পরিণত হয়েছে, তাই তাকে পুনরায় নতুন করে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের কোন সুযোগ নেই।
ইতিমধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, ভারতের অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর সাথে ব্রান্ড লাইসেন্স ও অপারেশন ম্যানেজমেন্ট এর চুক্তি করে এবং শুধুমাত্র “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” এর একটি লোগোর অনুমোদন নিয়ে, হাসপাতাল লাইসেন্স সহ সকল লাইসেন্স এর নাম পরিবর্তন না করে “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নামে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাই অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালসের নামে তাদের ব্যবসা পরিচালনাও বৈধ নয় কেননা হসপিটাল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং হসপিটাল সংক্রান্ত অন্যান্য সরকারী ডকুমেন্ট এবং অনুমোদন ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেডের নামে অর্থাৎ বর্তমানে অনুমোদন ছাড়া ‘অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নামে চলছে যা সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভুত এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি অবজ্ঞার সামিল। সুতরাং ‘অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালসের’ এর নামে সিইও ডঃ আনানথ এন রাও এবং সিএমও ডাঃ প্রকাশ কে এন স্বাক্ষরিত উক্ত চিঠিও বৈধ নয় এবং চিঠিটি অগ্রহনযোগ্য বলে বিবেচ্য।
ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ পূর্বক ডাঃ আরিফ বিগত ৩০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীঃ মাননীয় ২য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৫৪/২০২৩। মাননীয় আদালত বাদীর আর্জিতে সন্তুষ্ট হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে না তা নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এখানে উল্লেখ্য ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন। সম্প্রতি জনাব ওয়াহিদ মালেক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন এর সময়কালে কর্মরত বেশীরভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে বিদায় করা হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন এর ছেলে জনাব রিয়াজ হোসেনকেও কোন কারণ ছাড়াই, হঠাৎ করে চাকুরীচ্যুত করা হয়। জনাব রিয়াজ হোসেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
একই ধারাবাহিকতায়, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন এর সাথে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কাজ করে আসা ডা. আরিফ উদ্দিন আহমেদকেও নানান ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে ও বিভিন্ন প্রকার প্রস্তাবনার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে তার নিয়মিত ও স্থায়ী চাকুরী থেকে চুক্তি ভিত্তিক চাকুরীতে আনার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।