ইউনূস
অধ্যাপক ইউনূস রাজনীতির চেষ্টায় সফল হননি।

নোবেল পুরষ্কার লাভ করার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দল গঠন করা কার্যক্রম শুরু করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে এবং ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।

এর কিছুদিন পর থেকেই অধ্যাপক ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন শুরু হয়।

যদিও ফখরুদ্দিন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করার আগে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

ওয়ান ইলেভেনের এগারো বছর পর, একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৮ সালের জুন মাসে বিবৃতির মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার আকাঙ্খার কথা জোর গলায় অস্বীকার করেছিলেন।

গবেষক-লেখক মহিউদ্দীন আহমেদ একটি লেখায় দুজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছেন, মুহাম্মদ ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার প্রধান কারণ ছিল এই সরকারের স্বল্প মেয়াদ।

সে লেখার প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ইউনূস বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, “সেনাবাহিনীর প্রস্তাবে আমি কেন রাজী হইনি এ বিষয়ে যে কারণ তারা উল্লেখ করেছেন তা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত। একেবারে হদ্দ বোকা না-হলে একজন অরাজনৈতিক বেসামরিক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর নিকট তাঁকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য একটি সরকারের প্রধানের পদে রাখার এরকম আবদার করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারবে না।”

পরবর্তীতে তিনি সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন।

প্রয়োজনে রাজনীতিতে আসবেন

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সফরে যান। সে সফরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবার জোরালো সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

ইউনূস ও মনমোহন
২০০৭ সালের ৩০শে জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সাথে বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

৩১শে জানুয়ারি দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের পরিস্থিতি বাধ্য করলে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন।

সে সফরে অধ্যাপক ইউনূস ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে বৈঠক করেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক আমার দেশ।

অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আমার দেশ লিখেছে, রাজনীতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার মতো ব্যক্তি আমি নই। কিন্তু পরিস্থিতি যদি বাধ্য করে তাহলে রাজনীতিতে যোগ দিতে আমি দ্বিধা করবো না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন

জরুরী অবস্থা জারির পর থেকে অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন সময় দেশের প্রচলিত রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের কড়া সমালোচনা করেন।

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা দেশকে এলডিসির পর্যায় থেকে আরো উন্নত পর্যায়ে আনতে চান না। কারণ এতেই তারা নিজেদের লাভ দেখতে পান।

ভারত সফর শেষে অধ্যাপক ইউনূস বাহরাইন সফরে যান। সেখান থেকে ফিরে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সেখানে তিনি ‘দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানকে’ সমর্থন করেন।

অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আমার দেশ লিখেছে, বলেন, ” এখন একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা যাতে আর নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত।”

ইউনূস

ছবির উৎস, বিবিসি বাংলা

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস দেশের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে বলেন, তারা রাজনীতি করে টাকার জন্য।

ইউনূসের খোলা চিঠি

২০০৭ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইউনুস দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেন। সে চিঠিতে তিনি নিজের রাজনীতি সম্পর্কে পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

সে চিঠিতে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, নতুন রাজনীতি সৃষ্টির জন্য প্রচণ্ড উদ্যোগ নিতে হবে। এটি করতে না পারলে পুরনো রাজনীতি থেকে পরিষ্কারভাবে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না।

খোলা চিঠিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন , “আল্লাহর অসীম রহমতে আমি এক অতিশয় ভাগ্যবান মানুষ। আমার পাওয়ার আর কিছু অবশিষ্ট নেই”

” আমি জানি, রাজনীতিতে জড়িত হওয়া মানে বিতর্কিত হওয়া। আপনার যদি মনে করেন, আমার রাজনীতিতে আসাটা দেশে নতুন রাজনৈতিক পরিমণ্ডল রচনায় সহায়ক হবে তবে আমি তার জন্য এ ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছি”, তিনি চিঠিতে লেখেন।

একটি নতুন রাজনৈতিক দল কীভাবে গঠন করা যায়, কিভাবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচনে মনোনীত করা যায়, কিভাবে তৃনমূল থেকে সরাসরি মতামত পাওয়া যায় – এসব বিষয় নিয়ে তিনি মানুষের মতামত এবং পরামর্শ জানতে চান।

প্রয়োজনে গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে দেবেন

যেদিন তিনি খোলা চিঠি দেন, সেদিনই তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়া হন।

কলকাতায় গিয়েও তিনি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি নিয়ে সেখানকার সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।

সেখানে তিনি বলেন, নতুন ধারার রাজনৈতিক দল করার সুযোগ এসেছে। এজন্য তিনি নতুন ধারার রাজনীতি করতে চান। সেখানে তিনি আরো বলেন, জনগণ চাইলে তিনি নতুন দল গঠন করবেন।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, দেশের প্রয়োজনে রাজনীতি করতে গিয়ে বিতর্কিত হওয়ার ঝুঁকি নিতেও তিনি রাজী আছেন।

ভারত থেকে ফিরে অধ্যাপক ইউনুস তার রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন। ঢাকায় ফিরে তিনি বিমানবন্দরে আবারো সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য তিনি প্রয়োজনে গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে দেবেন।

ফখরুদ্দিন ও ইউনূস
নোবেল পুরষ্কার জেতার পরে ফখরুদ্দিন আহমদের সাথে অধ্যাপক ইউনূস।

ইউনূসের প্রশংসা ও সমালোচনা

অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টাকে ভূয়সী প্রশংসা করে কিছু সংবাদপত্র। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল দৈনিক প্রথম আলো।

অধ্যাপক ইউনুসের খোলা চিঠিকে ‘সবচেয়ে অভিনব ব্যাপার’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রথম আলো পত্রিকা।

পত্রিকাটি লিখেছে, ” বিপুল সংখ্যক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ড. ইউনুস যদি যথার্থ গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন, তবে তা এদেশের রাজনীতিতে মাইলফলক হয়ে থাকবে।”

অধ্যাপক ইউনুস যখন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নানা তৎপরতা ও বিবৃতি দিচ্ছেন তখন দেশে জরুরী অবস্থা চলছে। জরুরী অবস্থার আওতায় দেশে রাজনৈতিক তৎপরতা তখন নিষিদ্ধ।

এনিয়ে অনেকে তখন নানা সমালোচনা করতে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, “আইনের ভেতরে দল করব। আইন ভাঙব না।”

দলের নাম ‘নাগরিক শক্তি’

১৮ই ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইউনুস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, তার দলের সম্ভাব্য নাম ‘নাগরিক শক্তি’।

এসময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া থেকে তার সরে আসার সুযোগ নেই।

“এখন এগিয়ে যেতে হবে, গ্রামে গ্রামে গঠিত হবে ড. ইউনূস সমর্থক গোষ্ঠী।”

“এখনকার অবস্থায় রাজনীতি না করার আর কোন অবকাশ নেই”

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার খবরে বলা হয়, ২২মে ফেব্রুয়ারি দুবাই যাবার আগে বিমানবন্দরে তিনি রাজনৈতিক দল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।

বিভিন্ন গ্রামে, মহল্লায় এবং ওয়ার্ডে ২০ সদস্যের প্রাথমিক প্রস্তুতি টিম গঠনের আহবান জানান তিনি।

ইউনূস

ছবির উৎস, বিবিসি বাংলা

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস তার রাজনৈতিক দলের নীতি ও আদর্শ ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, তার রাজনীতি হবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এবং ঐক্যের। দলের নীতি ও আদর্শ হচ্ছে – অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সুশাসন, দুর্নীতি ও দলীয়করণ মুক্ত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চার দিনের সফর শেষে ঢাকায় ফিরে তিনি আবারো বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে জরুরী অবস্থা চলাকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহায়তায় অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ নিচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের একটি অংশ তার প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে।

অধ্যাপক ইউনূস সমাবর্তনে যোগ দিলে শিক্ষকদের একটি অংশ সেটি বর্জনের হুমকিও দেয়।

এমন অবস্থায় বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, তিনি জরুরী অবস্থায় দল গঠনের সুযোগ নিচ্ছেন কি না?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ” আমি তো দল করতেই চাইনি। বলেছিলাম, নির্বাচনটা হয়ে যাক। কিন্তু এখন নতুন পরিস্থিতিতে মনে করছি দল গঠন করা উচিত।”

রাজনীতির চিন্তা থেকে সরে আসা

রাজনীতিতে আসার জন্য তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে যে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন তার তিনমাসের মধ্যেই সে প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।

২০০৭ সালের ৩রা মে অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। এজন্য তিনি জাতির উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রকাশ করেন।

সে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, যাদেরকে সঙ্গে পেলে দল গঠন করে জনগণের সামনে সবল ও উজ্জ্বল বিকল্প রাখা সম্ভব হতো তাদের আমি পাচ্ছি না। আর যারা রাজনৈতিক দলে আছেন তারা দল ছেড়ে আসবেন না।

“বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এ পথে অগ্রসর না হওয়াই সঠিক হবে মনে করে এ প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” চিঠিতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

আমার দেশ পত্রিকা

ছবির উৎস, বিবিসি বাংলা

কেন তিনি রাজনীতি থেকে পিছু হটলেন সেটি নিয়ে নানা মত রয়েছে। যদিও অধ্যাপক ইউনূস তার খোলা চিঠিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলেন, কিন্তু বিষয়টি সে রকম নাও হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার পরে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে জোরেশোরে চেষ্টা করেছিল।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বাইরে রাখা কিংবা বিদেশে পাঠিয়ে দেবার নানা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

অধ্যাপক ইউনূস সে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন বলে অনেকে মনে করেন।

কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে না। কিংবা তাদের বিদেশেও পাঠানো যাবে না।

তাছাড়া অনেক রাজনৈতিক দল অধ্যাপক ইউনূসের প্রচেষ্টার বিপক্ষে ছিল।

ফলে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নোবেল বিজয়ী হয়তো রাজনীতিতে আর অগ্রসর হতে চাননি।এমনটাই ধারণা করেন পর্যবেক্ষকরা।

রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া

অধ্যাপক ইউনূস যখন রাজনীতিতে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেন তখন সেটির কড়া সমালোচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছিল, যারা রাজনীতিতে নতুন আসে তারা ভয়ঙ্কর হয়। তাদের তৎপরতা সন্দেহ করার মতো।

“তারা জাতির ভালো করার পরিবর্তে আরো বেশি খারাপ করে,” বলেন শেখ হাসিনা।

রাজনীতির মাঠ থেকে অধ্যাপক ইউনূসের সরে যাবার পরে স্বভাবতই রাজনৈতিক দলগুলো যে স্বস্তি বোধ করেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল অধ্যাপক ইউনূসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাকে মি. জলিল বলেন, “এতদিনে ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।”

বিএনপির তৎকালীন মুখপাত্র ও সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন তখন তাকে স্বাগত জানিয়েছিল বিএনপি।

“এখন উনি চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতি করবেন না। আমরা তার এ সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানাই,” প্রথম আলো পত্রিকাকে বলেন নজরুল ইসলাম খান।

এছাড়া বিএনপি-পন্থী পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ তাদের এক সম্পাদকীয়তে লিখেছিল – এবারের সিদ্ধান্তই সঠিক।

# আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা