চলমান সংবাদ

ইটালিতে অভিভাবকবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী ৮ বছরে ১০ গুণ

ইটালির উপকূলে পৌঁছানো অভিবাসী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের গড় বয়সও কমেছে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের ইটালির সমাজে একীভূত করার কাজে সহায়তা করে এসএআই নামের একটি সংস্থা। ৩ মে “দ্য হোস্টিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন সিস্টেম অ্যান্ড আনঅ্যাকম্প্যানিড মাইনরস” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালে এক হাজার ১৪২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী ইটালিতে এসেছিলেন। ২০২১ সালে এসে এই সংখ্যা পৌঁছায় আট হাজার ৭৫ জনে। যা এখন ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় সংখ্যাটি ১০ গুণ বেশি৷

অপ্রাপ্তবয়স্কদের গড় বয়সও কমছে। এর আগে ১৭ বছর বয়সী অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন তাদের সংখ্যা কমছে, নৌকায় চড়ে আসা অভিবাসীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেড়েছে।এই বেড়ে চলা প্রবণতার ফলে অভিবাসীদের আশ্রয় ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি বলেছেন, ‘‘লাম্পেদুসার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং অভিবাসীদের আগমনের পর ব্যবস্থাপনাকে সুশৃঙ্খল করে তুলতে সিসিলি এবং ক্যালাব্রিয়ার মধ্যে আশ্রয়ের স্থান বাড়ানো হবে।’’

তবে অভিভাবকবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের চাহিদা মেটানোর জন্য যেসব বিশেষ সুযোগসুবিধার প্রয়োজন, সে বিষয়ে তার বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

ইটালির পৌরসভাগুলোর সমিতি- এএনসিআই এর অভিবাসন নীতির দায়িত্বে থাকা প্রাটো শহরের মেয়র মাত্তেও বিফানি, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়ার সক্ষমতা নিয়ে “উদ্বেগ’’ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অভিবাসীদের আশ্রয়দান পদ্ধতি – এসএআই বেশ ভালো কাজ করে। তবে তা “আরো কাঠামোবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন” বলেও মনে করেন তিনি।

অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের চাপ সামাল দিতে ইটালিজুড়ে ছয় মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইটালি পৌঁছেছেন। গত দুই বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় সংখ্যাটি প্রায় চার গুণ বেড়েছে৷

অভিবাসীদের চাপ সামাল দিতে ইটালির দক্ষিণাঞ্চলীয় লাম্পেদুসা দ্বীপের জরুরি অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোম। বুধবার ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বীপের আশ্রয় ও অভ্যর্থনা কাঠামোতে আরও নতুন ৮৫০টি স্থান যুক্ত হবে। ২০২২ সালের শুরু থেকেই অতিরিক্ত আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসী চাপে বিপর্যস্ত দ্বীপের প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরেও সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের আলোচিত এই দ্বীপটি উত্তর আফ্রিকা থেকে অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুদের আগমনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে লড়াই করছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।