চলমান সংবাদ

বাংলাদেশিসহ ৩২ অভিবাসী পাচার, ফ্রান্স-ইটালি সীমান্তে আটক ১

আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের ৩২ জন নাগরিককে পাচারের অভিযোগে সেনাগালের এক নাগরিককে আটক করেছে ফ্রান্সের সীমান্ত পুলিশ৷ আটক ব্যক্তি অভিবাসীদের ইটালি থেকে ফ্রান্সে প্রবেশ করাতে জনপ্রতি ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিতেন বলে জানা গেছে৷

২৮ ও ২৯ এপ্রিল টানা অভিযান চালিয়ে ফ্রান্স-ইটালি সীমান্তের হউত আল্পস ডিপার্টমেন্ট থেকে ৩২ অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ৷ তারা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক৷ একটি ‘কাভার্ড ভ্যানে’ লুকিয়ে তাদেরকে ইটালি থেকে ফ্রান্সের সীমান্তে পারাপারের চেষ্টা করা হয়৷

অভিযানে ইটালিতে বসবাসকারী সেনেগালের এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে৷ তিনি গাড়িটির চালকের ভূমিকায় ছিলেন ৷ তাকে মানব পাচারের দায়ে আটক দেখিয়েছে ফরাসি সীমান্ত পুলিশ (পিএএফ)।

পুলিশ জানায়, আটককৃত ব্যক্তি সড়কপথে অভিবাসীদের ইটালি থেকে ফ্রান্সে নিয়ে আসতে জনপ্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত দাবি করত৷

স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রাঙ্কো-ইটালীয় সীমান্তের আল্পস অংশ ছাড়াও যানবাহনের মাধ্যমে বিপজ্জনকভাবে অভিবাসীদের সীমান্ত পাড়ির প্রবণতা বেড়েছে৷

২০১৬ সাল থেকে ২৫ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী পায়ে হেঁটে মোজনেভে বা এশেল সীমান্ত অতিক্রম করেছেন৷ এ অঞ্চলে মানবপাচারকারী আটকের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, একটি দ্রুতগামী গাড়িতে শিশুসহ আট অভিবাসীকে লুকিয়ে রাখার দায়ে মালির এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷

সীমান্তে অভিবাসীদের চাপ মোকাবিলায় গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন আল্পস-মারিতিম অঞ্চলে একটি সীমান্ত বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন৷

দক্ষিণ আল্পস এবং রোয়া অঞ্চল ইটালি থেকে ফ্রান্সে অভিবাসীদের আগমনের গুরুত্বপূর্ন ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ এ অঞ্চলের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে বর্তমানে ২০০ জনেরও বেশি ফরাসি সৈন্যের উপস্থিতি রয়েছে।

তবে দীর্ঘ এই সীমান্তে নজরদারি নিশ্চিত করতে এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সিনেটর জঁ মিশেল আরনো।