মতামত

অবসরের গানঃ আমাদের কালের বন্ধু নাসিমের অনন্ত অমৃতলোকে যাত্রা

– শরীফ শমশির

আমাদের বন্ধু নাসিমুল গণির (১৯৬২-২০২৩) মস্তিষ্ক গত সতেরই এপ্রিল চিন্তা থেকে বিরত হয়।তারপর সে শীতল গাড়িতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়, পরের দিন তাকে পার্থিব শয়ানে শায়িত করা হয়।বন্ধুদের, আত্মীয়দের, শুভানুধ্যায়ীদের মনে বিদায়ী বিউগলের সুর বেজে উঠে। সে এখন অনন্তলোকে অমৃত শান্তির যাত্রী। তার উপর পরম করুণা বর্ষিত হোক।

স্মৃতিচারণে সকলেই তার মানবীয় দোষ- গুনের কথা বলেছেন। জ্যৈষ্ঠ সম্পাদক- লেখক নাসিরুদিন চৌধুরী লিখেছেন, চিরঞ্জীব নাসিম, সাহিত্যিক- লেখক অভিক ওসমান লিখেছেন, স্বপ্নবাজ নাসিম। এই সব অভিধা তার জন্য উপযুক্ত। আরও অভিধা তার প্রাপ্য। আরও অনেকেই তার স্মৃতিচারণে সেইসব বিষয় হয়ত তুলে ধরবেন। তাকে স্মরণ করে আমরা নিজেদের সময়কে তুলে ধরছি মাত্র।কারণ, সে ছিল আমাদের কালের সন্তান। নাসিম আমাদের কালকে ধারণ করার চেষ্টা করেছিল।

আমদের জন্ম বাংলাদেশের জন্মের সন্ধিক্ষণে। ষাটের দশকে আমাদের জন্ম, সত্তরের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের জন্ম। আমরা বাংলাদেশের জন্মের সাক্ষী। আমরা যুদ্ধে যাই নি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী। এই সময়টা ছিল যুদ্ধের, আর আমরা যুদ্ধের প্রভাবে বড় হয়ে যাই। যুদ্ধ মানুষকে জীবনের গভীরতর সত্যকে সামনে নিয়ে আসে। আমরা তাই রাষ্ট্র, সমাজ ও বিপ্লবের সন্তান । বয়সের তুলনায় তাই জীবনবোধে আমরা একটু এগিয়ে ছিলাম।
১৯৭৮ সালে আমরা মাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হই। আমরা যারা গ্রাম থেকে এসে ভর্তি হই তাদের অধিকাংশই হোস্টেলে থাকতাম। শহরের যারা তারা বাসা থেকে আসত। কলেজের ক্যাম্পাসে পরস্পরের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলত। আশি সালের শুরুর দিকে ফাইনাল পরীক্ষার আগে আমার সাথে নাসিমের পরিচয়। জাসদ- ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে।
চট্টগ্রাম কলেজে আমরা প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে পরিচিত হই। কলেজে আওয়ামী- ছাত্রলীগ, জাসদ- ছাত্রলীগ , ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রশিবির সক্রিয় ছিল। ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্র -কর্মী রিক্রুট করার দিকে মনোযোগী ছিল। এটা ছিল প্রতিযোগিতা আর মতবাদ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অনেক সময় দ্বন্দ্ব- সংঘাতে পরিণত হত।এই সংঘাত হওয়ার আগে একটা চাপা উত্তেজনা থাকত আবার সংঘাতের পরেও চাপা উত্তেজনা থাকত।এই সংঘাতের উত্তেজনা হোস্টেলেও ছড়িয়ে পড়ত। এই উত্তেজনার মূলে ছিল ছাত্র শিবিরের আধিপত্য বিস্তারে বল প্রয়োগের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। তখনও স্বাধীনতার মূল্যবোধ সজীব ছিল। ছাত্র শিবির ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ছাত্র সংঘের বাংলাদেশি সংস্করণ। ছাত্র সংঘের হাতে বুদ্ধিজীবীসহ বহু নাগরিক নিহত হয় মুক্তযুদ্ধের সময়। এই সংগঠনের অতীতের নেতাদের মানবতা- বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ ছাত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছাত্র সংগঠনগুলোতে ছাত্র শিবির বিরোধী মনোভাব সক্রিয় ছিল। ছাত্রদল ক্ষমতাসীন বিএনপির সংগঠন হিসাবে ছাত্র শিবিরের বিরোধিতা করতো না, শিবির যেহেতু বিএনপির সময়ে রাজনীতির অনুমোদন পায় তাই তারা তাদের আনুকূল্য পেত। এই সময় আমিও রাজনীতিতে যুক্ত হই তবে এই সংগঠন, বাঙলা ছাত্র ইউনিয়নের কোন সংগঠন বা সমর্থক চট্টগ্রাম কলেজে ছিল না। আমি তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রগতিশীলদের বন্ধুতে পরিণত হই এবং হোস্টেলে আমাদের এক বিরাট বন্ধুমহল হয় যারা শিবিরের প্রতিরোধের মুখে থাকতাম। সবার নাম মনে নেই তবে, মনসুরুল হক বাবুল, সুজাউদ্দিন জাফর, রফিক আহমেদ, ফরিদউদ্দিন আখতার প্রমুখের কথা মনে আছে। এই সময় কলেজ ক্যাম্পাসেও যারা শিবিরের রোষানলে পড়েছিল তাদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের আব্দেল মান্নান সকলের নজর কেড়ে ছিল। নাসিমও পরিচিত হয়, আরও পরিচিত হয় জামাল নাসের চৌধুরী। নাসিম ছিল সৌম্যদর্শন, প্রীতিময় ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নিষ্ঠ কর্মী। সমাজতন্ত্রের প্রতি আমাদেরও আগ্রহ ছিল। এখন অনেকেই হয়ত বলেন, সমাজতন্ত্র সমাজে আলোচনায় নেই কিন্তু সেই আশির শুরুতে সমাজতন্ত্রের মোহনিয় আকর্ষণ চুম্বকের মত তরুণদের টানত। আমরা কৈশোরে মুক্তিযুদ্ধ দেখে বিপ্লব, সমাজতন্ত্র ইত্যাদির প্রতি পতঙ্গের মত আকর্ষিত হতাম। নাসিম ছিল সময়ের সন্তান, বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের স্বপ্নবাজ।
কলেজের পাঠ শেষে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসি, নাসিমসহ অন্যান্য বন্ধুরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ঢাকায় আমি আর সুজাউদ্দিন জাফর একসাথে পথ চলা শুরু করি। পড়াশুনা আর রাজনীতি। এই সময় কোন এক সময় নাসিমের সাথে আমার ঢাকায় দেখা, সে কোন এক সম্মেলনে এসেছিল। সেই সময় জাসদে রাজনীতির পর্যালোচনা চলছিল। নাসিম আমার সাথে রাজনীতির আলোচনা চালানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। আমরা নিবিড় আলোচনা করি এবং সে পরিচয় করিয়ে দিল , জামাল নাসের চৌধুরী, কামালউদ্দিন চৌধুরী, আবু হানিফ, নিশাত রফিক, মনসুর মাসুদ, শামসুদ্দিন খালেদ সেলিমের সাথে। আমরা অনেক অধ্যয়ন করে অনেক পথ ধরে ওয়ার্কার্স পার্টিতে সক্রিয় হই। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশনা , সেমিনার ও ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার উদ্যোগ নিই। সেই যাত্রা শুরু। দর্পণ পত্রিকা প্রকাশ ছিল তার উৎকৃষ্ট নমুনা। এখানে আমরা সকলেই সম্পাদক, সকলেই বিতরণকারী ও লেখক। এর মধ্যেই আমরা চট্টগ্রামে ১৯৮৪ সালে সামরিক পুঁজি ও সামরিক শাসন শীর্ষক একটা সেমিনার করে ফেলি। আর এভাবেই একটা যৌথ বিকাশের চর্চা শুরু হয়, সেই যৌথ চর্চার অন্যতম সোনালি ফসল ছিল, নাসিম। এই যৌথ চর্চার আরেক দৃষ্টান্ত ছিল, সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র।
নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রামের সমাজ ও রাজনীতিতে একটা পরিচিতি, প্রভাব ও গতি ফেলে সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র। এই কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের পরিশ্রমের কারণ ছিল আমরা দেখলাম, রাজনীতিতে সামরিক শাসনের প্রভাবে নৈতিকতার স্খলন হচ্ছিল। সমাজে যাতে প্রগতিশীলতা বেঁচে থাকে তাই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।
কিন্তু আমরা দেখলাম, সময় আমাদের দিন দিন প্রতিকূলে চলে যাচ্ছিল। আমরা কর্মজীবনে প্রবেশ করলাম, সমাজতন্ত্রের ভাঙা হাটে দিশেহারা অবস্থা, পার্টি গুলোর ভাঙন আমাদের সংকুচিত করে দিচ্ছিল, তবুও আমরা প্রকাশ করলাম এম এ আজিজ স্মারকগ্রন্থ, মুনির হাসানের মিথ্যার মুখোমুখি প্রতিদিন, অভিক ওসমানের গদ্য কথা, সাখাওয়াত হোসেন মজনু ভাইয়ের ডাঃ এম এ হাশেম প্রভৃতি গ্রন্থ। বুদ্ধিবৃত্তিক এই স্ফুরণের আমাদের সহযাত্রী ছিল নাসিম।সকলেই ছিল একজন আরেকজনের সহায় ও নির্ভরশীলতা।
সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র করতে গিয়ে আমরা পেয়েছিলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ অনুপম সেন স্যারকে, যিনি ১৯৯৩ থেকে অদ্যাবধি কেন্দ্রের সভাপতি। শুভানুধ্যায়ী হিসাবে আরও পেয়েছিলাম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, অধ্যাপক নুরুদ্দিন জাহেদ মঞ্জু , নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, অভিক ওসমান প্রমুখদের। সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্রে সদস্য হিসাবে সৈয়দ জাহাঙ্গীর,রণজিৎ দস্তিদার রানা, নাসিমুল গণি, জামাল নাসের চৌধুরী, কামালউদ্দিন চৌধুরী, সুজাউদ্দিন জাফর, সলিমুল্লা চৌধুরী, মোহাম্মদ হাসান, মনসুরুল হক বাবুল, নিশাত রফিক, মনসুর মাসুদ, আবু হানিফ, ফেরদৌসি আনোয়ার এ্যনি , শামসুদ্দিন খালেদ সেলিম, আমানুল্লাহ আমান, মহিউদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুজ্জামান রুমি, মুনির হাসান, মোরশেদা রানা, রওশন আরা রেখা , শরীফ চৌহান, হোসেন শহীদ মুফতি , জমিরুল ইসলাম ও সুমন প্রমুখ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অনেকের নাম হয়ত বাদ পড়েছে । আমি তাদের সকলের নাম সংযুক্তি করতে চাই কারণ, এরা সবাই নাসিমের সহযোদ্ধা।
সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র একটি টেবিল নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম বই মেলার আয়োজন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই নাসিম পরবর্তীতে বই মেলা আয়োজনে সাহস পেতো।
সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্রের সোনালি কাজ ছিল এম এ আজিজ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ। সুজাউদ্দিন জাফর নিজ অর্থায়নে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করলে এর বিতরণ, বিপণনে জামাল নাসের চৌধুরী মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এর প্রকাশনা উৎসব নিয়ে নাসিমের আগ্রহ এখনো স্মরণীয়।
আর, এভাবেই নাসিমুল গণির বেড়ে উঠা, রাজনীতি, সমাজ সংগঠন ও চাকরিতে। ইতিমধ্যে নাসিম বিয়ে করেছে, ব্যাংকে চাকরি নিয়েছে।এইসবে আমরা সবাই তার সাথে যুক্ত ছিলাম, যুক্ত ছিলাম সতীর্থ আপনজন সম্মেলনেও। এই সম্মেলন ছিল ১৯৭৮ সালে যারা মাধ্যমিক পাশ করেছিল তারা এবং তাদের পরিবার পরিজনের সমাবেশ। এই সমাবেশ আমাদের বন্ধুত্বের দিগন্তকে প্রসারিত করে দেয়। নাসিমেরও।
এরপর নানা কারণে, নাসিমের সাথে আমরা যৌথভাবে আর বেশি দিন থাকতে পারি নি। কারণ, সে ব্যবসা- বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়ে। যদিও বন্ধুদের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে ছিল। ব্যবসায় লাভ- ক্ষতি আছে। কোথাও সে লাভবান হয়েছে, কোথাও ক্ষতির মধ্যে পড়েছে, ব্যক্তিগতভাবে জানতাম।কিন্তু সংযোগ দৃঢ় ছিল না। তবে লক্ষ্য করতাম সে প্রকাশনার ব্যাপারে স্বপ্নবাজ ছিল। তার স্বপ্নে ছিল, পত্রিকা প্রকাশ করবে, পুস্তক প্রকাশ করবে, চট্টলার মনিষীদের নিয়ে গ্রন্থ বের করবে। কিছু কিছু করেছেও । কিন্তু প্রফেশনালইজম ছিল না। আবেগ দিয়ে সব বের করতো। ভালো বিপণন ছিল না।কোন কিছুকে কেন্দ্র করে সে কিছু করে নি, করেছে, সব কিছু আলাদা আলাদাভাবে।
সে বিশ্বাস করত, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা তার সকল কাজের সহায়ক। এখানে সরলতা ছিল, বাস্তবতা ছিল না।
তারপর সে অনেকটা নিঃশব্দ হয়ে যায়। সেই নিঃশব্দতা তার শরীর -মনে অসুস্থতা নিয়ে আসে। আবার তার সাথে আমাদের পুনঃসংযোগ হয়। এই সময় রাজনীতি, সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র প্রভৃতি আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল না, আমার বন্ধুরা মনোযোগ ছিল তার স্বাস্থ্যে । ডায়াবেটিস ছিল প্রধানত তার, সাথে অন্য সমস্যা । তার মনেও উচ্চ উৎসাহ ও গভীর হতাশার খেলা চলছিল। এই দুই মেরুর খেলা তার মন ও শরীরকে বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। সে সেই ঝুঁকিতেই পড়েছিল।
পরিবার, ডাক্তার, সমাজ , স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও আমরা বন্ধুরা তার ঝুঁকিকে কমাতে পারিনি। সুজাউদ্দিন জাফর বলল, আমরা আরও মনোযোগী হলাম না কেন? এই আফসোস বাস্তবতাকে নানামুখী প্রশ্ন করবে, কিন্তু হায়! তলে তলে আমরাও কি সেই বাস্তবতার শিকার নই?
নাসিম চিরঞ্জীব, নাসির ভাই লিখেছেন। তাইই । নাসিম একজন তরুণ হিসাবে সমাজ বদলের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছিল, এর চেয়ে মহৎ আর কি আছে!
নাসিম স্বপ্নবাজ ছিল, ওসমান ভাই লিখেছেন। হয়তো তাইই , একজন সম্পাদক- প্রকাশক হওয়ার স্বপ্নতো বাজিকরেরই কাজ। আমাদের সামাজিক- আর্থিক বাস্তবতা তার স্বপ্ন পূরণে বাধা ছিল। তাকে অতিক্রম করতে না পারাটাই ছিল তার হতাশার গভীর গোপন কথা। মানুষের মন সমাজের প্রতিচ্ছবির বাইরেই বা আর কি!
নাসিম বেঁচে থাকবে সমাজের প্রগতিশীলতায়। নাসিম স্মরণীয় হবে যারা আগামীতে প্রগতির পথে সম্পাদক- প্রকাশক হবার স্বপ্ন দেখবে।
নাসিম আকাশসম স্বপ্ন দেখত, তাই ছেলের নাম রেখেছিল আকাশ। সলিমুল্লাহ খানের কবিতার মতো। সে ছিল সলিমুল্লাহ খানের ভক্ত। আহমদ ছফার অনুরক্ত। এমন নাসিমইতো আগামীতে আলোচিত হবে।
নাসিম চাইত, আমি যেন চট্টগ্রামে মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীকে নিয়ে, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে নিয়ে বলি, লিখি। নাসিমকে বুঝাতাম, আমারও শরীর- মন সজীব নেই। তাকে প্রবোধ দিতাম, সেই প্রবোধ সে মানত, বন্ধুতো!
কিন্তু, এখন কে কাকে প্রবোধ দেবে!
আমাদের বন্ধু, নাসিম অমৃতলোকে আজ। তার উপর স্বর্গের পুষ্প বৃষ্টি হোক।

# শরীফ শমশিরের ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত