বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (৮৭): একুশের আয়নায় স্বদেশ

-বিজন সাহা  

 

সংখ্যাগরিষ্ঠের রায় বা গণতন্ত্রকে না মানার ইচ্ছার মধ্য দিয়ে যেমন পাকিস্তানের জন্ম হয় ১৯৪৭ সালে, ঠিক একই কারণে তার ভাঙ্গন ১৯৭১ সালে। আর ভাঙ্গাগড়ার এই চিরন্তন খেলার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় নতুন দেশ – বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জন্ম নেয় নতুন অঙ্গীকার নিয়ে, ধর্মের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিজাতিতত্ত্বকে বর্জন করে। ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র – এই চারটি মূল নীতির উপর গড়ে ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান। তবে মজার ব্যাপার এই যে পাকিস্তান আন্দোলেন সফল হবার অল্প দিনের মধ্যেই যেমন শেখ মুজিবের মত জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী তরুণ নেতারা আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালীন বেশ কিছু জনপ্রিয় তরুণ নেতারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে গড়ে তুলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। আবার যে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগকে (তত্কালীন বিরোধী দল) কাজ করতে না দেবার জন্য মুসলিম লীগ সরকারের সমালোচনা করেছেন, তিনিই বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে বিরোধীদের মতে মূলতঃ একদলীয় শাসন চালু করেন বাংলাদেশে। এখানে আমি বাকশাল নিয়ে বিতর্কে যেতে চাই না। যে কারণে কথাটা বলা তা হচ্ছে সংবিধানের একটা মূল নীতি গণতন্ত্র হবার পরেও বাকশাল তৈরির মাধ্যমে সেই গণতন্ত্রের চর্চাকে কিছুটা হলেও খর্ব করা হয়েছিল। অনেকে বলতে পারেন, বাকশাল তো বহুদলের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল। সেটা ঠিক। তবে জোট জোটই – ওখানে মত ও পথের মিল থাকে, শুধু মাত্র কিছু ছোটখাটো ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করা যায়। জোটের সদস্যরা কখনই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে পারে না, যা কিনা গণতন্ত্রের জন্য, বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যে সমস্ত নেতাদের সম্পর্কে তিনি বিভিন্ন সময়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কি এক অজ্ঞাত কারণে তিনি তাদের ত্যাগ করতে পারেননি, বরং তাদের কথায় অনেক বিশ্বস্থ অনুগামী ও সহকর্মীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। আর তাই ঘরের আর বাইরের শত্রুরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শুধু সপরিবারে তাঁকেই খুন করেনি, ইতিহাসের চাকাটাই পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিয়েছে। যে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বার বার লড়াই করে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা এনেছিলো, ৭৫ এর পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই সামরিক জান্তাই ক্ষমতা দখল করে, জাতিকে আরও ১৬ বছর লড়াই করতে হয় সামরিক শাসনের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে। শুধু তাই নয়, যে সাম্প্রদায়িক তত্ত্ব ও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলার রাজনীতিতে পুনপ্রবেশ করে ৭৫ এর পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে এই সাম্প্রদায়িক শক্তি কখনই বাহান্নর চেতনার বিশ্বাসী ছিল না, তারা কী তখন, কী এখন সুযোগ পেলেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরোধিতা করত, করে। এর পরের ইতিহাস – আমাদের ৭১ থেকে দুরে সরে যাবার ইতিহাস, আর সেটা শুধু সময়ের দিক থেকেই নয়, চেতনার দিক থেকেও।

 

যদিও ১৯৯১ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩২ বছর (মাঝ খানের দুবছরের তত্বাবধায়ক সরকার বাদে) সরকার পরিবর্তন হযেছে মূলতঃ ভোটের মাধ্যমে, তারপরেও বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ বলা খুবই প্রশ্নসাপেক্ষ। আর এর বড় কারণ আমাদের ঠিক আগের মতই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের রায় মেনে নেবার অক্ষমতা। আসলে বাংলাদেশের মত পরিস্থিতি খুব কম দেশেই দেখা যায় যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল দুটো এন্টাগোনাস্তিক (যদিও এখন আমেরিকায় সেই টেন্ডেন্সি দেখা যাচ্ছে)। ভোটের রাজনীতিতে হারজিত অতি স্বাভাবিক। একদল হারবে, অন্যদল জিতবে – এটাই নিয়ম। আর পরাজিত দল সংসদে গিয়ে শুধু সরকারের সমালোচনাই করবে না, বাজেট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনায় যোগ দিয়ে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে, এটাই সবার আশা। পরাজয়টা যে অসম্মানের নয়, এটা যে নতুন করে আত্মবিশ্লেষনের সুযোগ, সেটা আমরা মানতে রাজী নই। তাই বার বার বিরোধী দল সংসদের বদলে পথে নামে, আর যে জনগণের সেবা করার কথা বলে আন্দোলন করে, বস্তুতঃ সেই জনগণের নাভিশ্বাস বের করে ছাড়ে। আমার ধারণা এটা আসলে আমাদের জাতীয় রোগ। আমরা যেহেতু শুধু জয়ের কথাই ভাবি, হারার চিন্তা করি না, তাই কি পাব এই প্রশ্নটাই আমাদের আমাদের চেতনা জুড়ে থাকে, কি হারাব সেটা ভাবার সময় আমাদের কোথায়? নাকি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এত দেউলিয়া যে তাদের হারানোর কিছুই নাই? তাইতো দেখি এমনকি প্রতিষ্ঠিত দলগুলোও ভবিষ্যতের চিন্তা না করে শুধু বর্তমানের পাওয়াটাকে সামনে এনে একের পর এক হরতাল আর অবরোধ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। কৌশলটা অনেকটা এই রকম – আমি যেহেতু পাব না, তোকেও ভোগ করতে দেব না। সরকারি দলও এই সুযোগ গ্রহণ করে বিরোধী দলকে পারতপক্ষে নির্মূল করার চেষ্টা করে। এই মানসিকতার ফলে রাজনীতি ক্রমশঃ উগ্রপন্থীদের হাতে চলে যাচ্ছে যারা বুদ্ধিবলের তোয়াক্কা না করে বাহুবলে সব সমস্যা সমাধান করতে আগ্রহী। তবে এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই প্রযোজ্য নয়, সারা পৃথিবী আজ এই পথে যাচ্ছে। ভোগবাদী আদর্শের সাথে সাথে পশ্চিমা বিশ্ব আজ রঙ বেরঙের গণতান্ত্রিক বিপ্লব রফতানি করছে দেশে দেশে, আর রফতানি করছে “জোর যার মুল্লুক তার” আদর্শ বাণী। তাই যাদের জাতীয় স্বার্থের রক্ষক হবার কথা তারা জাতীয় সম্পদের ভক্ষক হচ্ছে, রাজনৈতিক ভাবে দেশ অরাজকতায় ডুবে যাচ্ছে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে যে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল জোট এই শুন্যতা পূরণ করতে পারত তাও গড়ে উঠছে না। দশ বছর আগে শাহবাগের ডাকে দেশের মানুষ যে ভাবে সাড়া দিয়েছিল, তাতে সেরকম একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ আবার একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছিল, আর সেটা হয়েছিল শাহবাগ কোন রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম ছিল না বলে। কিন্তু যখনই এতে দলীয় রাজনীতি ঢুকলো, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবীর সাথে সাথে অন্যান্য (দলীয়) ইস্যু গুলোকে যখন সামনে আনা হল, শুরু হল অন্তর্দলীয় কোন্দল, মুখ থুবড়ে পড়ে গেল আন্দোলন। এ ব্যর্থতার দায় সবারই, তবে আন্দোলন সংগ্রামে বিদগ্ধ বাম দলগুলোর কাছে আমাদের আশাটা সব সময়ই বেশী বলে তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভও একটু বেশী। আমাদের বামপন্থী নেতারা মনে হয় লেনিনের সেই বিখ্যাত উক্তি “আজ খুব তাড়াতাড়ি হবে আর আগামীকাল খুব দেরী হয়ে যাবে” ভুলে গেছিলেন। তাই নিজেদের শক্তিতে অতিরিক্ত বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। ফলে একটা সুন্দর আন্দোলন অকালেই মৃত্যু বরণ করে। আর সরকারি দলের কৌশল এই ভাঙ্গনকে দ্রুত করেছে।

অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় দেশের সাথে সাথে আজকাল আন্দোলন সংগ্রামও ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। তা না হলে বাম দলের নেতারা কলে কারখানায়, হাটে মাঠে মানুষের কাতারে গিয়ে রাজনীতি করার পরিবর্তে টক-শো নিয়ে এত ব্যস্ত থাকবেন কেন? আধুনিক মাধ্যম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, তবে তা যদি এ দলগুলোকে মানুষের কাছ থেকে দুরে রাখে, নেতাদের জনবিচ্ছিন্ন করে রাখে তাহলে আর বাম রাজনীতি করে লাভ কি? আসলে দুটিই  করতে হবে, মাঝে মধ্যে টক-শো তে গিয়ে নিজেদের অবস্থান মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে আবার মানুষের কাছেও যেতে হবে। শুধু তাই নয়, সংসদকে ব্যবহার করার ন্যুনতম সুযোগও যদি থাকে সেটাকে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে সিপিবি নিঃসন্দেহে সব চেয়ে বড় দল যাদের আছে আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে সিপিবির ভুমিকা বেশ ঘোলাটে। যদি আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর সিপিবি কে তিন কোণে রেখে একটা ত্রিভুজ আঁকা হয়, তবে সেটা হবে নিশ্চয়ই বিষম বহু ত্রিভুজ, আর এতে সিপিবি থেকে বিএনপির দুরত্ব সিপিবি থেকে আওয়ামীলীগ-এর দূরত্বের থেকে হবে অনেক বেশী। অন্তত দেশের রাজনীতি সচেতন জনগণের এক বিশাল অংশ সেটাই ভাবে। যেহেতু ত্রিভূজের পরিসীমা বলতে গেলে ফিক্সড, তাই সিপিবি যখনই আওয়ামীলীগ থেকে নিজের দুরত্ব বাড়ায় তখন ইচ্ছা অনিচ্ছায় বিএনপির সাথে তার দুরত্ব কমে আসে। আর এই কমে আসাটা দেশের রাজনীতিতে এক ভয়ঙ্কর কালো ছায়া ফেলে। আমার মনে হয় পার্টির বর্তমান নেতৃত্ব তাদের কৌশল ঠিক করার সময় এই সাধারণ সত্যটা মাথায় রাখছেন না, তাই নিজেদের অজান্তেই, নিজেদের অনিচ্ছা সত্বেও বিএনপি জামাতের ধ্বংস লীলায় ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছেন। বা বলা চলে তাদের রাজনীতি এখন যেহেতু স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরোধী সেটাকে বিএনপি, জামাত ব্যবহার করছে। তার মানে এই নয় সরকারের জনবিরোধী কাজ সমর্থন করতে হবে, কিন্তু তার জনকল্যাণমুলক কাজকর্মের প্রশংসা করতে সমস্যা কোথায়? যেসব কাজ দেশের মঙ্গল বয়ে আনে সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমস্যা কোথায়? আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ ও সিপিবির এই মনোভাব শুধু দুই দলকেই পরস্পরের থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে না, এর ফলে আওয়ামী লীগের ভেতর যেমন প্রগতিশীল ধারা দুর্বল হচ্ছে, একই ভাবে সিপিবি অতি বামের দিকে ঘেঁষে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদ প্রভাত পটনায়েক ভারতের বাম আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, “প্রশ্ন এটা নয় যে এদেশে বামেদের কোন ভবিষ্যৎ আছে কিনা, প্রশ্ন হল বামেদের ছাড়া এদেশের কোন ভবিষ্যৎ আছে কিনা”। সমস্যা হল সঙ্গত কারণেই দেশে বামেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আর বামেরা এই প্রশ্ন উঠতে দিয়েছে বলেই দেশের ভবিষ্যৎ আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। আজ দেশে দেশে যে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান সেটা বামেদের দুর্বলতা ও ভুল নীতির কারণে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা সময়ের সাথে নিজেদের বদলাতে পারেনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল অধিকাংশ বামপন্থী নেতা ও কর্মী ব্যক্তি জীবনে ভোগবাদ সহ বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতির সুযোগ সুবিধা পুরাদমে গ্রহণ করে নিজেদের ও ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কমবেশি নিশ্চিত করলেও দলগত ভাবে, রাজনৈতিক প্রশ্নে তারা পরিবর্তন মেনে নেয়নি, অনেক ক্ষেত্রেই এখনও পুরানো দিনেই রয়ে গেছে। পরিবর্তনই যে একমাত্র সত্য এটা মুখে বললেও দলীয় বিভিন্ন প্রশ্নে তারা মৌলবাদীদের মতই অনড়। আর এটাই দল ও দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করছে। অন্ধভাবে কোন কিছুকে ভক্তি করা যেমন মৌলবাদের জন্ম দেয়, ঠিক একই ভাবে কোনকিছুর প্রতি অন্ধ ঘৃণাও মৌলবাদের জন্ম দেয়। নিউটনের যুগে স্থান-কাল আবসলিউট ছিল, বর্তমানে আর তা নেই। স্থান-কাল ও বস্তু পরস্পরকে বদলায়। স্থান-কালের সাথে সাথে বদলায় সমাজ, বদলায় সামাজিক বন্ধন আর সেই সাথে বদলায় সামাজিক তত্ত্ব প্রয়োগের পদ্ধতি। এক যুগ আগে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে যে ফল পাওয়া যেত বর্তমানে সেই পদ্ধতি যে একই ফলাফল বয়ে আনবে এমন কথা নেই, তাই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের কাজের পদ্ধতি বদলাতে হবে। না হলে আমরা অনবরত পিছিয়ে পড়ব।

একটা জিনিস যা আমাকে খুব অবাক করে, তা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের দাবী করা আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে অন্যদের কে গালি দেওয়া। আজ দুটো বড় দলেই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির আনাগোনা, আবার উভয় দলেই আছে স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলার বা লড়াই করার লোকজনও। তবে অনুপাতটা একেক দলে একেক রকম। শেখ মুজিব নিজেই লিখে গেছেন যে দেশ ভাগের পরে মুসলিম লীগ পাকিস্তান বিরোধী লোকজন দিয়ে ভরে গেছে। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগে যে স্বাধীনতা বিরোধীরা ঢুকবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে একদল লোক আছে, যাদের জন্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ – এসব শুধুই নাম। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ় করা। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যারাই ৭২ এর সংবিধান থেকে দূরে সরে গেছে, মৌলবাদী আর ধর্মীয় শক্তির কাছে নতজানু হয়ে ৭২ এর সংবিধান পুনর্বহাল করেনি, তারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবী করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, মস্কো, রাশিয়া