চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্কের সভা

-পবিত্র রমজানে শ্রমিকদের দুর্ভোগে না ফেলার আহ্বান

চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়্যার্কের একসভা আজ ১৩ মার্চ ’২৩ সোমবার বিকাল ৫টায় বিলস-এলআরসি কারযালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি নুরুল আবসার,জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা সৈয়দ আহমেদ বাদল, বিলস কর্মকর্তা পাহাড়ি ভট্টাচার্য ও রিজওয়ানুর রহমান খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহসভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের নুরুল আবসার তৌহিদ, গুলজার বেগম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জাহিদ উদ্দিন শাহিন, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের নাজমা বেগম, ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ –ইনসাব বায়েজিদ থানার নেতা আব্দুল হালিম প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, আমরা গভির বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি কতিপয় পোশাক কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। অথচ এই সকল বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা শ্রম আইন অনুযায়ী কোন মজুরি বা ক্ষতিপুরন পাচ্ছে না। এই ব্যাপারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। অন্যদিকে অতিত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, রমজান মাসে ব্যবসা মন্দা অধিকাংশ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট দিনের বেলায় বন্ধ থাকে এমন অজুহাতে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের রমজান মাসে চাকুরিচ্যুত করা হয় এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের ঈদ বোনাসও দেয়া হয়না। পোশাক কারখানা ও হোটেল মালিকদে্র এই ধরণের আচরন অত্যন্ত অমানবিক এবং অসাদচনের সামিল। অন্যদিকে  কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আচরনেও দায়িত্বশীলতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে এসকল ভুক্তভোগী শ্রমিক প্রতিকার পাওয়ার মত জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ছে এতে এসকল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন জীবিকা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এধরনের ব্যবস্থা বজায় থাকলে যেকোন সময় শিল্পে অস্থিরতা এবং অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে।

চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক উপরোক্ত বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর মালিক পক্ষের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেমএমইএ, আঞ্চলিক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি সহ সকল পক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ আশা প্রকাশ করেন। অন্যথায় চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজ, শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল মহলকে যুক্ত করে কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।