সুলতান ডাইনের কাচ্চিতে খাসির মাংসের পরিবর্তে কুকুর বিড়ালের মাংস দেয়ার অভিযোগ
ওই পোস্টে প্লেট এবং প্যাকেটে বিরিয়ানি রাখা দুটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার সুলতানস ডাইনে কাচ্চি আনা হয়েছিল ৭টা। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হল যে, এটাতো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না। তখন সুনতানস ডাইনের গুলশান ২ এর নম্বরে কল দেই। জিগ্যেস করি এটা কি মাংস ছিল?
‘ওনারা দুজন সহ আবার খাবার পাঠায়। সাথে ওনাদের এজিএম আশরাফ সহ আসে। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সাথে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বলি। এ জি এম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না। তারা বলে, তাদের কে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।’
সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারা জানান, সুলতান ডাইন একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান। এখানে এধরনের কাজ কখনোই সম্ভব নয়।
ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘৯৯৯-এ কল দেই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে। ৯৯৯ থেকে গুলশানের ডিএমডি পুলিশের নম্বর দেয়া হয়। অভিযোগ জানাতে। এটাও করি। কাল এক সাংবাদিক ফোন করে আমায় থ্রেট করে। আসলে দেশে কি টাকা দিয়ে কুকুর বিড়াল খাওয়ালেই তারাই জিতে? মানবাধিকার কোথায়, খাদ্য নিরাপত্তা কোথায়?’
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর নিরব হোটেলে গরুর মাংসের নামে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ফেসবুকে তার পোস্ট ভাইরাল হলে তখন ৪৮ বছরের নাজিম উদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোটেলটির খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিরব হোটেলের পক্ষে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয় তখন।
সাভারের আশুলিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ ওঠে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ নামের এক খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দোকানটির একজনকে আটকও করে পুলিশ। পরে অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেন, ওই দোকানের বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।।