চলমান সংবাদ

মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩-এর খসড়া প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধনের ডাক

মোটরসাইকেল

মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩-এর খসড়া প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। আগামী বুধবার (১ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন রাস্তার ফুটপাতে বিকেল ৩টায়  এ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সব মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচিটি হবে শান্তিপূর্ণ।

ডিএমপিকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছেন তিন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী। তারা হলেন- শাখাওয়াত হোসেন, ইকবাল মাহমুদ ও অনন্ত জান্নাত। চিঠিতে খসড়া নীতিমালাকে ‘জনবিরোধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘জনবিরোধী মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা প্রত্যাহারের নিমিত্তে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন’ শীর্ষক ইভেন্ট পেজ খোলা হয়েছে। যেখানে প্রায় ২৪০০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী অংশ নিয়েছেন। ইয়ামাহা বাইক রাইডার ক্লাব, বাইক বিডি, ডেসি বাইকারসহ একাধিক গ্রুপ এতে একাত্মতা জানিয়েছে।

মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান, তারা মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি পেয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিটি পালন করতে চান। কোনো সংগঠনের ব্যানারে নয়, সাধারণ চালক হিসেবে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, মোটরসাইকেল চালকদের অনেক ক্লাব রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এক হাজার ব্যবহারকারী মোটরসাইকেল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ৯ সদস্যের একটি কমিটি মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া একটি নীতিমালা করেছে। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

খসড়া নীতিমালায় শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ধরা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার। মহাসড়কে ১২৬-এর কম সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি পেছনে আরোহী নিয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।