un

গরিব ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বিদেশি ফল

-আমদানি কম, দাম আরো বাড়ার শঙ্কা

আমদানি কমার জেরে দেশে ফলের বাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। রমজানে ইফতারের সময় ফলের চাহিদা থাকে। তাই ফলের উচ্চমূল্যের কারণে গরিব ও মধ্যবিত্তশ্রেণীর পক্ষে বিদেশি ফল কিনে খাওয়াটা কষ্টকর হয়ে যাবে বলছেন ভোক্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ডলার সংকটের কারণে বিদেশি ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গিয়ে বাজারে প্রভাব পড়ে। এছাড়া কন্টেনার ভাড়া বৃদ্ধি, পরিবহন খরচসহ ও আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ার কারণে ফলের দাম বেড়েছে।

নগরীর ফলমন্ডির কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে ধর্না দিয়ে অনেকে ফল আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারেননি। তাই গত বছরের তুলনায় বাজারে বিদেশি ফলের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। তবে রমজানের সময় আছে আর এক মাসের মতো। এ সময় বন্দর থেকে ফলের অনেক চালান খালাস হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে এখনের চেয়ে দাম কমে যাবে।

জানা গেছে, আমাদের দেশে মৌসুমভেদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আপেল–মাল্টার মতো বিদেশি ফল আমদানি হতো। বিশেষ করে আপেল আমদানি হতো চীন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কেবল চীন থেকে আপেল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মাল্টা আসতো মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। বাজারে এখন রয়েছে শুধু মিসরের মাল্টা। এছাড়া আঙুর ও ডালিম চীন ও মিসর থেকে আসতো। তবে বাজারে এখন ভারতীয় আঙুরের আধিক্য রয়েছে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মাঝারি মানের চীনা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। এছাড়া ভালো মানের চীনা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। চীনা নাসপতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। চীনা কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। একই দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় কমলাও। ভারতীয় সাদা আঙুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা এবং কালো আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। মিসরের মাল্টা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৭০ ও ১৯০ টাকায়। এছাড়া ডালিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। ফলের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে আগামী রমজানে দাম বাড়তি থাকবে।