চলমান সংবাদ

সীতাকুণ্ডে চারটি ‘নিষিদ্ধ মাগুর’ বিক্রি হলো ২০ হাজার টাকায়

মাগুর মাছ চারটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির গ্রামে
মাগুর মাছ চারটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকায় চারটি মাগুর মাছ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। এসব মাগুর মাছের প্রতিটির ওজন ৬ কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত। তবে এসব মাগুর চাষ নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কার্যালয়।

আজ শনিবার সকালে ওই এলাকার মুহুরীপাড়ার স্থানীয় একটি পুকুরের পানি সেচের পর মাগুর মাছ চারটি ধরা পড়ে। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে ট্যুর মাছও বলা হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশীয় মাগুর মাছ এত বড় হয় না। এটি সম্ভবত আফ্রিকার মাগুর মাছ হবে। আট কেজি ওজনের মাগুর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী (রা.) মাজারে পুকুরে দেখা যায়। কিন্তু কোনো চাষের পুকুরে এই ধরনের মাগুর সচরাচর দেখা যায় না। কারণ, একটি মাগুর মাছ এক কেজি ওজনে পৌঁছাতে ১৪ কেজি অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে। যে কারণে আফ্রিকান মাগুর চাষ সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তাই এই মাগুর চাষ কোথাও হয় না। এ মাছ কোথাও পাওয়া গেছে খবর পেলে তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা জব্দ করেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে মাগুর মাছ নিয়ে স্থানীয় বাজারে আসেন দুই যুবক। শুভ মুহুরী নামের তাঁদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি কেজি মাগুর মাছের দাম হাঁকছেন ৮০০ টাকা। ৭ কেজি, সাড়ে ৭ কেজি ও ৭ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের তিনটি মাগুর মাছ বিক্রি করেছেন স্থানীয় লোকজনের কাছে। প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে ৩টি মাগুর মাছ বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার টাকায়। ৬ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের আরেকটি মাছ বিক্রি হয় ৪ হাজার ২০০ টাকায়।

যে পুকুরে মাছগুলো ধরা পড়েছে, সেটির মালিক বিভু মহুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের পুকুরের পানি সেচে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই মাছ চারটি পেয়েছেন। পুকুরটিতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা মৃদুল কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, বড়জোর এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত মাগুর মাছ দেখেছেন। কিন্তু এত বড় মাগুর মাছ আগে কখনো দেখেননি। তা ছাড়া বজ্রপাত ও বৃষ্টির সময় শিং মাছ, মাগুর ও কই মাছ পুকুরে থাকে না। সেগুলো ডিম ছাড়ার জন্য অন্যত্র চলে যায়। এত বড় মাগুর মাছ পুকুরে থাকাটা অস্বাভাবিক, যদি না চাষ করা হয়।