un

মুক্তির মশাল-বেগম মুশতারী শফী

-ডঃ শাহীন আকতার হামিদ

বেগম মুশতারী শফী, আমাদের প্রিয় খালাম্মা কে নিয়ে লিখার জন্য রুমানা যখন বলল আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। এতবড় একজন মানুষকে নিয়ে কলম ধরার ক্ষমতা কি আমার আছে! খালাম্মা আমাকে ক্ষমা করে দিবেন যদি আমি ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারি।

১৯৭৮ সালে যখন প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসি, তার কিছুদিন  পরেই যুক্ত হলাম উদীচীর সাথে। বিশুদা, কিবরিয়া ভাই সহ তখনকার উদীচীর গণ্যমান্য  ব্যাক্তিদের সাথে শহরে গেলাম একটি অনুষ্ঠান করতে। সে অনুষ্ঠানে প্রথম দেখলাম বেগম মুশতারী শফীকে। প্রখর বুদ্ধির অধিকারী মানুষ  ছিলেন তিনি, তার বক্তব্যের প্রতিটি শব্দে আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম। সেই সময় বাংলাদেশের দুর্দিন চলছিল, মানুষ ভুলতে চাচ্ছিলেন স্বাধীনতার কথা যা আমরা পেয়েছিলাম অনেক ত্যাগের বিনিময়ে। বেগম  মুশতারী শফী মশাল হাতে আমাদের আলোর পথ দেখাচ্ছিলেন।

মুশতারী শফীর জন্ম হয় ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারী ভারতের মালদহ জেলার  কালিয়াচক। তার বাবা ছিলেন খন্দকার নাজমুল হক আনসারী, অবিভক্ত ভারত বর্ষের পুলিশের ডি এস পি। বেগম মুশতারী শফীর পরিবার সেই আদিকাল  থেকেই দেশের স্বাধীনতার সাথে যুক্ত ছিলেন। তার পিতামহ ছিলেন সে কালে ব্রিটিশ ভারতের সাব রেজিষ্টার। তৎকালীন ভারতের সিপাহী বিদ্রোহের সাথে যুক্ত থাকার ফলে চাকুরী হারান। স্বাধীনতার স্বপক্ষে কাজ করা তাঁদের বংশ পরম্পরায় চলে এসেছে। মাতামহ ছিলেন অবিভক্ত ভারত বর্ষের আইজিপি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রবর্তক।

বেগম মুশতারী শফী তার জীবনের অভিজ্ঞতার ছোলা পূর্ণ করেছিলেন সে  বাল্যকাল থেকে। পিতার বদলির চাকুরীর জন্য তাকে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাঁর যখন মাত্র তিনমাস মা চলে যান এবং নয় বছর  বয়সে তার বাবা তাঁকে অকূলে ভাষিয়ে চলে যান পরপারে, এরপর থেকেই সংগ্রামী জীবনে বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। ১৬ বছর বয়সে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চট্টগ্রামের বিখ্যাত ডেন্টাল সার্জন শহীদ ডাক্তার মোহাম্মদ শফীর সাথে।

১৯৭১ সালে জনজীবনে  নেমে আসে দূর্ভোগ, শুরু হয় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পরে স্বাধারণ মানুষের জীবনে, নির্দিধায় হত্যা করে চলে লক্ষ লক্ষ মানুষ।  এই হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান ডাক্তার শফী কে এবং তাঁকে হত্যা  করে। মুক্তমন ও সাহসী চিন্তার মানুষ আমাদের খালাম্মা ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একা হয়ে যান।

মাতৃহারা এ মেয়েটি তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন নিজ মনে। তিনি তার সুখ দুখ খারাপ লাগা ভাল লাগা কথাগুল দিয়ে ভরে ফেলতেন তার নোটবুক। ৪৬ রায়ট,  ৪৭ এর ভারত বিভক্তি ও ৫২ ভাষা আন্দোলন তাঁর মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। নিজের সাথেই চলত প্রতিনিয়ত তাঁর সমাজের জীবনের ভালমন্দের হিসাব। সমাজের গরীব মানুষের জীবন তাকে সব সময় কষ্ট দিত ভাবাত, তাই প্রগতিশীলতার ধারক বেগম মুশ্তারী শফী  পঞ্চাশের দশকে মানষিকভাবে যুক্ত হলেন সমাজতন্ত্রের  সাথে।

ডাক্তার শফীর  সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরেও থেমে যায়নি তাঁর  প্রগতিশীল কর্মকান্ড। রক্ষণশীল চট্টগ্রামে বসেই তিনি  নারী আন্দোলনে ঝাপিয়ে  পড়লেন।  ৬০ এর শুরুতেই তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন  নারীদের মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান বান্ধবী সংঘ। এরপর এখান থেকেই তিনি ‘বান্ধবী’ নামের একটি প্ত্রিকা বের করেন। এখানে নানাজাতীয় কর্মকান্ড মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হত। এরমধ্যে ছিল নাটক, সেলাই,সঙ্গীত, সাহিত্যসভা ও ছাপাখানা। এ বান্ধবী সংঘ ষাট এর দশকের সে সময়কাল রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। নাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান শাসকদের ভীত। যার কারণে ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার বাহিনী সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করে দেয় এ মহান কার্যক্রম ।

তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম শাখার মহিলা পরিষদের প্রথম সভাপতি। দেশ তখন উত্তাল, মিছিলে মিটিং এ একাকার চারিদিক। নিজেকে নিয়োজিত করলেন দেশ মুক্তির আন্দোলনে। তিনি সেই উনসত্তর ও সত্তরের গন অভ্যূথানে সংক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

’৭১ এ তিনি যে সাহস দেখিয়েছিলেন তা দেশের খুব কম মানুষ পেরেছিল। বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু করেন তার নিজ বাসভবন  থেকে। তখন এ কেন্দ্র যারা চালাতেন তাদের অনেকেই  তাঁর বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এ খবর তখন অনেকেই জানতে পারেনি। এখান থেকেই বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকার, আকাশবাণীর বাংলা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হত।  ডাক্তার শফী  ও বেগম মুশতারী শফীর ছোট ভাই এখানে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।

শুরু হয়ে যায় স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গুড়িয়ে দিচ্ছিল বাংলার জনপথ, থেতলে দিচ্ছিল সাধারণ মানুষের জীবন। গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পরার আগে ঢাকা চট্টগ্রাম ছিল তাদের মূল টার্গেট। স্বাধীনতার পক্ষে যে কন্ঠগুল কাজ করছিল তাদেরকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার জন্য  বাংলার কিছু  বেঈমানদের সাথে নিয়ে হানাদার বাহিনী তখন ঘরে ঘরে তল্লাশী চালাচ্ছিল। মুক্তি যদ্ধাদের দেয়ার জন্য ট্রাক ভর্তি গোলাবারুদ রেখেছিলেন মহান ব্যাক্তিত্ব তাঁর বাড়িতে। কেউ বা কারা এর সন্ধান দিয়েছিল হানাদারদের।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ হানাদার বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান ডাক্তার শফী ও বেগম মুস্তারী শফীর ছোটভাই এহসানকে, নানাবিধ অত্যাচারের পরে তাদের হত্যা করে সে হানাদার বাহিনী।  বেগম মুস্তারী শফী  সাত সন্তানের হাত ধরে  আগরতলা চলে যান। এ মহীয়সী নারী বিরত থাকেন  নি  তার মহান কর্মকান্ড করা থেকে। আগরতলাইয় ফাস্ট এইড ট্রেনিং নিয়ে তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধাদের   চিকিৎসা দিতে শুরু করলেন। কলকাতায় গিয়ে যুক্ত হলেন  প্রচার মাধ্যমের সাথে। ছদ্ম নামে তিনি নাটিকা ও স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ গ্রহণ করতেন। মুক্তিযদ্ধের বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে তিনি যোদ্ধাদের মনোবল রাখার জন্য মোটিভেশনাল বকৃতা দিতেন। শরনার্থীদের দূর্বিশহ জীবনে একটু স্বস্থির নিশ্বাস আনার জন্য নানা ধরণের দলের সাথে যুক্ত হয়ে খাদ্য ও শিশু খাদ্য সরবরাহ করতেন।

লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, লক্ষ লক্ষ নারী মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের ফলে ফিরে পাওয়া গেল বাংলাদেশ নামের একটি দেশ, নিজস্ব ভূখন্ড। তিনি ফিরে আসলেন সে ভূখন্ডে, সন্তান্দের মানুষ করার পাশাপাশী তিনি যুক্ত হলেন চট্টগ্রামের বেতার কেন্দ্রের ‘নিজস্ব লেখক শিল্পী পদে। এখান থেকেই তিনি  পরিচালনা করতেন নাটক, ও শিশুদের জন্য নানা অনুষ্টান।  এ সময়ে তিনি অনেকগুলো মৌলিক নাটক রচনা করেন ও নারীদের মুক্তি আন্দোলনে সক্রয় ভুমিকা পালন করেন।

১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক হিসাবে  যোগদান করার পরে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করার সময় নানা অনুষ্ঠানে যোগদান করার সময় প্রায়ই খালাম্মার সাথে দেখা হত। আমি সব সময় পিছনের  সারির মানুষ। মাঝে মাঝে কথা হত, মাঝে মাঝে হতনা। আমি সব সময় অবাক হতাম এ মহিয়িসী নারীর কাজ দেখে। ১৯৯০ সালে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার ফলে এ মহিয়সী নারীর  স্বানিধ্য থেকে অনেক দূরে চলে যাই।

১৯৯৫ সালে দেশে ফিরে আসার পরে ব্যস্ত হয়ে পরি নিজ কাজে। গড়ে তুলি ক্যান্সার সচেতনতা কেন্দ্র। ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক জামাল নজ্রুল ইসলাম স্যারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সেমিনারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে পূনরায় দেখা হয়ে যায় বেগম মুশতারী শফীর সাথে। সে সেমিনারে তাঁকে বিশেষ অতিথীর আসন অলংকৃত করার জন্য নিমন্ত্রন করতে যাই তাঁর বাসায়।

বেগম মুশতারী শফী ১৯৯২ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান  হলে চট্টগ্রামে ঘাতক দালাল কমিটির কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান  শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পরে কমিটি কিছুটা  ঝিমিয়ে পরে।  বেগম মুশতারী শফীর নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে কমিটি প্রাণ পায়। সে সময়ে  তিনি কেন্দ্রের আহবায়ক হন। তাঁর সময়ে গোলাম আযমের বিচার হয়।

বিদেশে  অবস্থানরত বাঙ্গালীদের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাথে যুক্ত করার  জন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল  যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার, যে যুদ্ধের ভয়াবহতা তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছেন।

এ মহান মানুষ তার সংসার, চাকরী, নারী আন্দোলন ও সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি রচনা করেছেন ২২টি গ্রন্থ। তার মধ্যে গল্পগ্রন্থ সাতটি, উপন্যাস তিনটি, কিশোর গ্রন্থ দুটি ভ্রমণ কাহিনী দুটি, প্রবন্ধ দুটি, মুক্তিযদ্ধ ভিত্তিকগ্রন্থ দুটি ও একাত্তরের স্মৃতি চারণ গ্রন্থ ‘আমার রক্তঝরা দিন’। এ গ্রন্থটির ইংরেজী অনুবাদ করেছেন এ এস মন্ডল। একাত্তরের স্মৃতিচারণ গ্রন্থটি আমার জানামতে দেশের অনেকের কাছে আছে। যেমন আছে আমার কাছে। খালাম্মার সে ক্ষরিত রক্তের সাথে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করতাম আমার সংসারে কতটুকু রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।  বেগম মুশতারী শফীর এ বইটি  দেশের স্বাধীনতা কামী মানুষের সবার কথা। যারা তাদের আপনজন হারিয়েছেন এ বইটির সাথে সবাই একাত্বতা অনুভব করেন।

সম্পাদনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি সম্পাদনা করেছেন নিয়মিত মাসিক পত্রিকা ‘বান্ধবী’। এ ধরণের পত্রিকা তখনকার সে রক্ষণশীল সমাজে কাজ করেছে নারীমুক্তির আলো হিসাবে। এরপর ১৯৯০ সালে সম্পাদনা করেন ’হৃদয়ে অনুভবে।’ চট্টগ্রামে নারীমুক্তি আন্দোলনের মূল ভূমিকা গ্রহণকারী সংস্থা মহিলা পরিষদের মূখপত্র স্বাধিকার নিয়মিত ভাবে বেরুচ্ছিল তার হাত দিয়ে।

একসময়ে যখন টিভি ছিলনা, আর থাকলেও মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন  মানুষের বাড়িতে ছিল, তখন রেডিও ছিল ভরসা। এ সময় রেডিও ছিলনা এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যারা রেডিও শুনেছেন, তারা বেগম মুশতারী শফীর কন্ঠ শুনে নি এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। অসংখ্য নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। তা ছাড়া তার লিখিত নাটক হল সতেরটি। আমি অবাক হয়ে ভাবি, একজন নারী, সাত সন্তানের জননী  কি করে সব দায়িত্ব পালন করার পরে এত কাজ করতেন।

যে সংগঠনের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে মহিয়সী নারীকে আমি প্রথম দেখি তা হল  উদীচী, তিনি ছিলেন উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি। এরপর বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি ছিলেন, আজ আমি যখন ৭১ এর স্মৃতিকথা সম্পাদনা করছি তখন মনে হয়েছিল কাজ শুরুর আগে আমি খালাম্মার কাছে গিয়ে আশির্বাদ নিয়ে আসি, দূরে থাকার কারণে আমি তা পারিনি। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের  একজন সম্মানিত ট্রাস্টি, ছিলেন অনেক সংগঠনের উপদেষ্টা ও আজিবন সদস্য।

বেগম মুশতারী শফী এত কাজ করার পরেও বহুবার বিদেশ ভ্রমন করেছেন।  তিনি ইউএস, ইউরোপ ও এশিয়ার বহু দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কোন সময় সভা, সমিতিতে অংশ গ্রহন করতে, অনেক সময় নিছক বেড়াতে গেছেন।

বাংলাদেশ তার আজীবন সংগ্রামী এ নারীকে নানা পুরুষ্কারে ভূষিত করেছেন।  বাল্যকালে পিতা মাতা  হারিয়ে, ছোট মেয়েটি ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দেশের কাজে।  মাত্র এগার বছর বয়সে তার প্রথম গল্প ‘মুকুলের মাহফিলে’ প্রকাশিত হয় দৈনিক ‘আজাদ’ পত্রিকায়। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ৭ সন্তানের জননী বিধবা হয়ে গেলেন। থেমে থাকেন নি একটি মুহুর্তের জন্যও। ক্রমাগত এগিয়ে গেছেন এ জীবনমুখী যোদ্ধা। চার মেয়ে তিন ছেলেকে স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তিনি কখনো হতাশায় ভুগেছেন কিনা তা কখনো জানা হয়ে উঠেনি। পুরোটা জীবনই তিনি তার কর্মযজ্ঞ দিয়ে অন্যকে পথ দেখিয়ে গেছেন।

এ আলোর মিছিলের সম্মুখ যাত্রী  ৮৩ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন ২০২১ সালের  ২০ ডিসেম্বর, বিনম্র শ্রদ্ধা ।

লেখক -ডঃ শাহীন আকতার হামিদ , রিচমন্ড, লন্ডন, ইউকে