তথ্য সংগ্রহে শরীয়তপুরে নিজের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক ও পরিচালক জিল্লুর রহমান। তার কাজ বাধাগ্রস্ত করতে এবং পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশেই পুলিশ এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানান।

জিল্লুর রহমান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, জেনে অবাক হয়েছি যে, শরীয়তপুরে আমার পৈতৃক (গ্রামের) বাড়িতে আজকে পুলিশের একটি দল আমার সম্পর্কে ‘তথ্য সংগ্রহ’ করতে গিয়েছিল। আমি ঢাকায় থাকি, সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এমন একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিদিন একটি টক শো (তৃতীয় মাত্রা) করি। ঢাকায় একটি অফিসও আছে।

তিনি আরও লিখেছেন, কোন তথ্য প্রয়োজন হলে পুলিশ আমার এখানে আসতে পারতো কিংবা টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারতো। তা না করে, তারা আমার পৈতৃক বাড়িতে গেছে। যা আমার এলাকার লোকজন এবং আমার আত্মীয়স্বজনের জন্য খুবই অস্বস্তির কারণ হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, স্পষ্টতই এর উদ্দেশ্য ছিল আমাকে, আমার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের ভয় দেখানো; একজন অ্যাঙ্কর হিসেবে এবং যে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক (সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ, সিজিএস) এর সাথে আমি জড়িত, আমার সেসব কাজকে বাধাগ্রস্ত করা।

জিল্লুর রহমান তার পোস্টে লিখেন, এটি কেবল একটি শোচনীয় কাজই নয়, আমার কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেখতে পাওয়াটা গভীরভাবে হতাশাজনকও। আমি সরকারকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করতে এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল একজন বিবেকবান নাগরিক হয়ে থাকবার এবং কথা বলার জন্য আমার সংকল্পকেই শক্তিশালী করবে।

জিল্লুর রহমানের বাড়ি গোসাইরহাট উপজেলার জুসিরগাঁও গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমের লক্ষে আমরা সকল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ও এলাকার ভাড়াটিয়া, চোর, মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করছি। এ তালিকা করার জন্য আমরা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার বিট পুলিশের কর্মকর্তা এসআই মতিয়ার গতকাল ইদুলপুর ইউনিয়নের জুসিরগাঁও এলাকায় জিল্লুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিল।