চলমান সংবাদ

কর্ণফুলি টানেল স্বল্পমেয়াদে বোঝা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্ণফুলী নদীর উপর যে টানেলটি গড়ে তোলা হচ্ছে সেটি আসলে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য একটি ভাল প্রকল্প হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদে এটি আসলে সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ সড়কটি যদি সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে মেরিনড্রাইভের পাশে অনেকগুলো শিল্প এলাকা গড়ে উঠবে।

“অতএব লং টার্ম বিবেচনা করলে এটা গুড প্রজেক্ট,” বলেন তিনি। কারণ এটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দূরত্ব কমিয়ে দেবে।

কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়

কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়

তবে তিনি মনে করেন স্বল্পমেয়াদে এটার আয় দিয়ে এটি নির্মাণে যে খরচ হয়েছে সে খরচ তোলা যাবে না। “সেদিক থেকে এটা শর্ট টার্মে এটা বোঝা হয়ে থাকবে বাংলাদেশের উপরে,” মি. ইসলাম বলেন।

আগামী ৫-৭ বছরে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, কারণ আগামী ৫-৭ বছরে এটা পর্যাপ্ত ব্যবহৃত হবে না। এতে যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি চলাচল করবে না। ফলে প্রথম দিকে এটি বাংলাদেশের উপরে একটি বোঝা হয়ে থাকবে।

মি. ইসলাম বলেন, ২০২৫ সাল থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা শুরু হয়ে যাবে। আর স্বল্প মেয়াদে যে লাভ হবে এই টানেল থেকে সেটি ঋণ পরিশোধের জন্য যথেষ্ট হবে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সহসাই হবে না বলেও মনে করেন তিনি।

“এই পর্যায়ে এসে এখান থেকে বের হওয়ার কোন রাস্তা নাই। এটা আন্ডার ইউটিলাইজ (কম ব্যবহৃত) হবে কয়েক বছর, এটা মেনে নিতেই হবে, ” বলেন তিনি।

তবে যদি চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জেটি কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে সরানো যায় তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

অর্থনীতির সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, এগুলো সম্ভাব্য সুবিধা এবং এসব চিন্তা করলে টানেলটা একটা ভাল প্রকল্প।