চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে জাতীয় রোগী কল্যান সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন

চট্টগ্রামে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি জেলা শাখার কার্যালয়ে
কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ডা.শাহাদাৎ হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, রাজশাহী জেলা শাখার আহবায়ক ডা.ইসরাত জাহান,নোয়াখালী জেলা শাখার আহবায়ক ডা.কামাল উদ্দিন।ফেনী জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম ভূঞায় সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান, নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সুমন, ফেনী সদর শাখার সদস্য মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, বিবি রহিমা বেগম,আদিবা জাহান আরিফা সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ প্রতিপাদ্য বিষয় -আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন’। বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি, আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হয় সকল দিবস সমূহ। আজকে ডায়াবেটিস দিবস। সারাবিশ্বেই ডায়াবেটিস এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ রোগ আজীবনের। একবার হলে তা কখনো সারে না। তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।এই দিনে ফ্রেডরিক ব্যান্টিং জন্মগ্রহণ করেন, যিনি তার সহযোগী চার্লস বেল্টকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক ম্যাকয়িডের গবেষণাগারে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ ইনসুলিন আবিষ্কার করেন। এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা।বিশ্বে প্রায় ৪৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৭৯ শতাংশেরই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাস। এ রোগে বছরে মারা যাচ্ছে ১৫ লাখ মানুষ। বেশিভাগ লোক জানে না যে, তার ডায়াবেটিস রোগ আছে। বছরে এই রোগে প্রায় এক লাখ লোক মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ৮৪ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতায় মারা যাচ্ছেন।বাংলাদেশে যেমন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেশি, তেমনি ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হারও বেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ ডায়াবেটিস সংখ্যাধিক্য দেশের মধ্যে দশম ছিল। কিন্তু আরো ভয়াবহ হলো ২০৩০ ও ২০৪৫ সালে বাংলাদেশ নবম অবস্থানে থাকবে। পৃথিবীতে বর্তমানে সবচেয়ে উচ্চহারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনে।লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি, আর এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটিতে। সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে। ১০ জনের মধ্যে ১ জন নারী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এবারের প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, নারীদের ডায়াবেটিসের ওপর এবার বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, নগরায়ণ ও পরিবর্তিত জীবনধারণের কারণে যেমন ডায়াবেটিস বাড়ছে, তেমনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকেরও বেশি পরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এমনকি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণে শিশু অপুষ্টির শিকার হয় এবং সেই শিশু পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর অতিরিক্ত ওজন হলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেশি থাকে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা শাখার কার্যালয়ে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে সকাল ১০ – ১ টা পর্যন্ত ।