চলমান সংবাদ

ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে

-জনজীবনে অস্বস্তি

খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে বাড়ছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। তেল-চিনির দাম বেড়েছে আগেই। এখন এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং গরম মসলার দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের বুকিং দর বাড়তি। তাই বাজার চড়া। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি খোলার অনুমতিও কম দিচ্ছে। গতকাল খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারীতে প্রতিমণ চিনির দাম ১ হাজার ১৮০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬৮০ টাকায়। মশুর ডাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা, মটর ডাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা। অন্যদিকে ভারতীয় গম মণপ্রতি ৮০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। এছাড়া এলাচ কেজিতে ৮৫ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৬৫ টাকা, দারচিনি ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং চিকন জিরা ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা এবং আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। হলুদ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। অপরদিকে দীর্ঘ সময় ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বর্তমান প্রতিমণ পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৭০০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। এছাড়া সয়াবিনের মণ বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬৮০ টাকা।
এদিকে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাঝখানে ডলারের বাজার অস্থির হওয়ার কারণে এখনো অনেকে ঋণপত্র (এলসি) খুলেনি। তবে এখন ডলারের দাম কিছুটা কমার ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে চাইলে ব্যাংকগুলো থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এলসি খোলার অনুমতি না পাওয়ায় অনেকে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্যের আমদানি করতে পারছেন না। জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেড়েছে। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্য শস্য পরিবহন কমে গেছে। অপরদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসিও কম দিচ্ছে। এসব বিষয়ে কারণে মূলত বাজার চড়া।

# ০৩/১১/২০২২, চট্টগ্রাম #