চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

কারখানার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সালেহ স্টিলকে লাখ টাকা জরিমানা

কারখানার কালো ধোঁয়া নির্ধারিত চিমনি ব্যবহার না করে খোলা বাতাসে ছেড়ে পরিবেশ দূষণের অপরাধে নগরীর নাসিরাবাদে সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের নির্দেশে চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় স্টিল মিলের এজিএম আব্দুর রউফ ও ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কারখানার ত্রুটি-বিচ্যুতি সমাধানের মুচলেকা দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া পরিশোধন ছাড়াই খোলা আকাশে ছেড়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এতে পরিবেশ দূষণের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সকল ত্রুটি সারানোর নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ধোয়ার কারণে কারখানাগুলোর নিকটবর্তী শেরশাহ, বাংলাবাজার ও চন্দ্রনগর এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার অনেক স্টিল কারখানায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এপিসি) রয়েছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যয় বাঁচাতে বেশিরভাগ সময়ে এপিসি সিস্টেম বন্ধ রেখেই অপরিশোধিত কালো ধোঁয়া ছেড়ে দেয়। ফলে মারাত্মকভাবে বায়ূ দূষণের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। এ যন্ত্রণা থেকে প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগও করে এলাকাবাসী। জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমণের অপরাধে ২০১২ সালের জুলাই মাসে সালেহ স্টিল মিলকে তলব করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বায়ূ দূষণের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ। গত বছর পরিবেশ দূষণের অপরাধে নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার চার প্রতিষ্ঠান সালেহ স্টীল, বিএসআরএম, আরএসআরএম ও বেঞ্জ স্টিলকে ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। এরমধ্যে সালেহ স্টীলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছিল।
# ১৯.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও। ডেঙ্গু সংক্রমণের হার অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে গত দুই মাসেই ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় পনেরোশ’র কাছাকাছি। প্রতিদিনই শনাক্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনকে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯১ জন। এর আগের দিন সোমবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৪ জন। চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১২ জনে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের পাশপাশি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮২ জন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৭ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪৪ জন রোগী। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৪ জন। এরমধ্যে নগরের ১ হাজার ২৩০ জন এবং উপজেলার ৪৪৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৭৯২ জন, নারী ৪৬১ জন এবং শিশু ৪২১ জন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই নগরের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছরের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৭৪ জনে। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে ১২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। তিনি বলেন, অক্টোবরের ১৮ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৯ জন। বর্তমানে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসকারি হাসপাতালে ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সবাইকে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
# ১৯.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #

বন্ড সুবিধায় এনে বাজারে বিক্রি, ১০৭ মেট্রিক টন কাপড় জব্দ পৌনে ৩ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা

বন্ড সুবিধার পণ্য এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অননুমোদিত গুদামে খালাসের সময় ১০৭ টন কাপড় (পলিস্টার ওভেন ফ্যাবিক্স) জব্দ করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আটক কাপড়ের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। রাজস্ব ঝুঁকি ২ কেটি ৮৮ লাখ। বাজার মূল্য ১০ কোটি। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের টিম চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব কাপড় জব্দ করে। এ সময় ৪০ ফুট লম্বা তিনটি কনটেইনার ও গুদাম থেকে ১০৭ দশমিক ২৬ টন পলিয়েস্টার ওভেন ফেব্রিকস আটক করে। ঢাকা সাভাররের ডিইপিজেডের গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব কাপড় আমদানি করে বলে জানা গেছে। এ চালান খালাসে সিঅ্যান্ডএফ ছিল স্পিডওয়ে লজিস্টিকস। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ বলেন, আমদানি করা পণ্য অনচেচিজ সুবিধায় ডেলিভারি নেয়ার পর সরাসরি কারখানায় না নিয়ে অননুমোদিত গুদামে বেআইনিভাবে মজুদ করা হচ্ছিল। যা বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধার অপব্যবহার। তাছাড়া বিনাশুল্কে বন্ড সুবিধায় আমদানি করে এসব পণ্য খোলা বাজারে বিক্রির পায়তারা করছিল তারা। এজন্য আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং আইনে ফৌজদারি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে পলিস্টার ওভেন ফ্যাবিক্স আমদানি করে সাভার ঢাকা ইপিজেডের কারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১১ অক্টোবর তিনটি ৪০ ফুট কন্টেইনার ও ১২ অক্টোবর ২টি ৪০ ফুট কন্টেইনার অনচেচিজ ডেলিভারি নেয় আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান স্পিডওয়ে লজিস্টিকস। কিন্তু এসব কাপড় ঢাকায় না নিয়ে কন্টেইনারগুলো নগরীর উত্তর হালিশহর বারওয়ানিঘাটা এএফটি লজিস্টিকস লিমিটেডের গুদামে খালাস করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে তিন কন্টেইনার থেকে ৬৩ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন এবং ওই গুদাম থেকে ৪৩.৩১ মেট্রিক টন কাপড় জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা।
# ১৯.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #

শুল্ক না দিয়ে রোলস রয়েস গাড়ি আমদানি, জরিমানা ৫৬ কোটি

বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি শুল্কায়ন না করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটসকে ৫৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে অবস্থিত জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেড যুক্তরাজ্যের রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়িটির বাজারমূল্য ২৭ কোটি টাকা। গত ৬ জুলাই ঢাকায় জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এর আগে ১৭ মে গাড়িটি গোপনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর ৯, ১০, ১৬, ১৮, ৮০ ও ১১১ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফায়জুর রহমানের সই করা আদেশে জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটসকে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আদেশে বলা হয়, রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবেদন করলেও জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। ফলে জরিমানা ছাড়াও তাদের শুল্ক বাবদ দিতে হবে প্রায় ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আমদানি নথিতে ৬৭৫০ সিসির গাড়িটির দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ডলার। কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর (সিআইআইডি) গাড়িটি অবৈধভাবে খালাসের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় কাস্টম হাউস থেকে জরিমানা ধার্য করে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খান বলেন, ঢাকা থেকে আটক করা বিলাসবহুল গাড়িটির বনেটে থাকা স্টিকারে দেখা গেছে এটি ৬৭৫০ সিসির গাড়ি। আমাদের কাস্টমস আইন মোতাবেক ২০০০ সিসি পর্যন্ত আমদানি গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আমরা যে গাড়িটি আটক করেছি সেটি ২০০০ সিসির বেশি হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্য হবে না। আমাদের হিসাব মতে, আমদানিকারক প্রায় ২৪ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে। # ১৯.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #