চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, মাছ-মাংস-ডিম

চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে গত দুই সপ্তাহব্যাপী চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি ও মাছ-মাংস। ডিমের দাম এখনো চড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শীতের আগে বাজারে স্বস্তি মিলবে না সবজির দামে। শীত এলেই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে সব ধরনের সবজির দাম। বাজার করতে আসা ক্রেতা মোমিনুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় সবকিছুরই দাম বাড়ছে। বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকিয়ে পকেট ফাঁকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। আগে ১০০০ টাকার বাজার করলে এক সপ্তাহ চলে যেত। এখন সেটা দুই-তিনদিনেও চলে না। কোনভাবেই হিসাব মেলাতে পারছি না। শুধু ঈদের আগে নয়, সারাবছর বাজার মনিটরিং করতে হবে প্রশাসনকে। বাজার মনিটরিং জোরদার করলে ন্যায্যমূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি লম্বা বেগুন ৭০, গোল বেগুন ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, কচুমুখি ৬০, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৫০, পেঁপে ৩০ টাকা, চালকুমড়া ৫০, ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ টাকা কমে শিম, টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। কাঁকরোল ৭০ টাকা, কলার মোচা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি কচুরলতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং বাধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৩০ টাকার নিচে নেই কোনো ধরনের শাক। প্রতি আঁটি পাট শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, কপি শাক ৩০, লাউ শাক, লাল শাক, কচু শাক ও ঢেঁকি শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এদিকে গত সপ্তাহে দামেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগিও ৫৪০ টাকায়। একই দাম বজায় রয়েছে ফার্মের ডিমেও, ১৪০ টাকা। সবজির দাম বাড়তির কারণ জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা দিদার বলেন, ‘বাজারে এখন কম দামের সবজি বলতে কেবল পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়াটাই আছে। আর সব কিছুর দাম বাড়তির দিকে। দাম না কমার পিছনে একটা কারণ হচ্ছে চালান কম আসছে। সামনে শীত এলে দাম কমতে শুরু করবে। এদিকে মাছের বাজারে গত সপ্তাহের মতোই রুই মাছ ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ ছোট বড় হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ফার্মের শিং মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ’ টাকায়। একইসঙ্গে কেঁচকি মাছ ২৪০ টাকা, কাতাল মাছ ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। মাছ বিক্রেতা মিরাজ বলেন, ‘মাছের একেক সময় একেক দাম। সকালে এক দাম আবার বিকেলে আরেক দাম। মাছের চালান বেশি আসলে দাম কমের দিকে থাকে। আবার কম আসলে বেড়ে যায়। আর এখন তো ইলিশ মাছ ধরা কিংবা বিক্রি করা নিষিদ্ধ তাই বাজারে অন্য মাছগুলোতে দাম কিছুটা বেড়েছে।’

# ১৫.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #