চলমান সংবাদ

জটিল স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল ও রি-অ্যাজেন্ট, জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শেভরণ ল্যাবকে লাখ টাকা জরিমানা

হেপাটাইটিস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রি-অ্যাজেন্ট (রাসায়নিক দ্রব্য) ব্যবহার করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে আসছিল চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি। ভুল স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্টের কারণে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমনকি রোগী জীবন বিপন্ন হতে পারে। অথচ রোগীদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা করে প্রতিষ্ঠানটি এতদিন রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছিল। শেভরনের ল্যাবে এরকম মেয়াদোত্তীর্ণ রি-অ্যাজেন্ট দিয়ে পরীক্ষার সময় হাতেনাতেই ধরেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের একটি অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল ব্যবহারের বিষয়টি জানা যায়। অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার। অভিযান প্রসঙ্গে নাসরিন আক্তার বলেন, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-অ্যাজেন্ট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। বিষয়টি প্রথম পর্যায়ে তারা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে আমরা সরেজমিনে তা দেখতে পাই। অভিযানের সময় তিন তলার মূল ল্যাবে তল্লাশি করা হয়। তখন পরীক্ষা করার সময়ই মেয়াদোত্তীর্ণ রি-অ্যাজেন্ট ব্যবহারের বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় ও ফ্রিজে সংরক্ষিত অবস্থায় আলফা ফ্রেটোপ্রোটিনসহ বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এসব রিঅ্যাজেন্ট দিয়ে শেভরন মরণঘাতি ক্যানসার, হেপাটাইটিস বি, সি ও নানা রোগের পরীক্ষা করছিল বলে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছে শেভরনের ল্যাবের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ রিঅ্যাজেন্ট ধ্বংসের পাশাপাশি শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় শ্রেষ্ঠা মেডিসিন কর্নার নামে একটি ফার্মেসিকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল ব্যবহার করলে রিপোর্ট ভুল হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট যদি ভুল হয়, তাহলে চিকিৎসাও ভুল হবে। এতে ভোগান্তি হবে রোগীদের, সাধারণ জনগণের। তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলার বা করার দায়িত্ব যাদের, তাদেরকেই এটি এনশিউর (নিশ্চিত) করতে হবে।’ এদিকে নগরের পাহাড়তলী বার কোয়াটার এলাকায় অমিত ফুড প্রোডাক্টস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযানকালে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চনাচুর, বাদাম, ডালভাজা, মোয়া, মুড়ি, তিলের টফি ও পপকর্নসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অপরাধে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। # ২২.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #