চলমান সংবাদ

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে  বাসদ(মার্কসবাদী)-র বিক্ষোভ

জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাসদ (মার্ক্সবাদী)-র বিক্ষোভ সমাবেশের একাংশ।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আজ নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে  বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা।আজ ৬ আগস্ট বিকাল ৪ টায় নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সদস্যসচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ,সদস্য আসমা আক্তার,জাহেদুন্নবী কনক,দীপা মজুমদার।সংহতি জানান বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী  সিঞ্চন ভৌমিক।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে দাম বাড়ানো হলো,অথচ এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী না, বরং নিম্নমুখী। দ্রুত তেলের দাম কমে যাচ্ছে।আন্তর্জাতিক বাজারে ইতোমধ্যে অপরিশোধিত তেলের (ক্রুড অয়েল) দাম কমে ৯৪ ডলার হয়েছে। চাহিদার প্রায় অর্ধেক অকটেন ও শতভাগ পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হয়।যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম ছিলো,তখন সরকার বেশি দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করে  ২০১৪ সাল থেকে ২০২১- এই সাত বছরে  লাভ করেছিলো ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সরকারের হিসাবে,গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য  বিপিসি লোকসান করেছে ৮ হাজার কোটি টাকা। আগে লাভ করা ৪৭ হাজার কোটি টাকা থেকে সাম্প্রতিক লোকসান পুষিয়ে নিলে ৪৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এভাবে ৩ বছরের লোকসান পুষিয়ে নেয়া যেত, তাতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কোন প্রয়োজন হতো না।’

লুটপাটকারীদের জন্য ভর্তুকি বাড়ছে অথচ জনগণের জন্য ভর্তুকি কমানো হচ্ছে-সরকারের এ দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন,গত একদশকে বেসরকারী বিদ্যুৎব্যবসায়ীদের বসিয়ে বসিয়ে ক্যাসিটি চার্জ নামক ভর্তুকি দেওয়া ৮৬ হাজার কোটি টাকা। লুটপাটের কারণে মেগাপ্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রীয় তহবিলের ঘাটতি মেটাতে এখন আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে তাদের শর্তের বড়ি গিলে জ্বালানি তেলের ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।দেশে প্রতি লিটারে জ্বালানি তেলে সরকার ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ ভ্যাট- ট্যাক্স নেয়। জনগণের উপর চাপ কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার জ্বালানি তেলের উপর সরকারের শুল্ক-ট্যাক্স প্রত্যাহার করেছে। সরকার সেটাও করেনি। গত নভেম্বরে একই যুক্তিতে জ্বালানি তেলের দাম ১৫% বাড়ানোর ফলে গাড়িভাড়া,কৃষি ব্যয় সহ জীবনযাত্রার ব্যয় ভয়াবহ আকারে বেড়েছিল। আর এবারের মূল্যবৃদ্ধি চূড়ান্ত মাত্রায় জনগণের জীবন দুর্বিষহ ও কৃষিসহ পুরো অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করবে।কিন্তু আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতার দাপটে যাই খুশি তাই করতে পারবে মনে করে।’’

নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের  দাবিতে ও ফ্যাসিবাদী এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানান।

# ০৬/০৮/২০২২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #