চলমান সংবাদ

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাস যাত্রী আহত ইমন

– ‘রেললাইনে কোন গেটম্যান ছিল না, ব্যারিকেডও দেয়া হয়নি’

 চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, ব্যারিকেড ও গেটম্যানের লাল পতাকা উপেক্ষা করে চালক মাইক্রোবাস লাইনে তুলে দেওয়ায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার সময় ক্রসিংয়ে ছিলেন না গেটম্যান। কেউ ব্যারিকেডও দেয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের এমন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের মধ্যে এবার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সেই মাইক্রোবাসে থাকা আহত জুনাইদ কাউসার ইমন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ইমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘মাইক্রোবাসে আমরা সবাই গল্প-আড্ডায় ফিরছিলাম। ক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিকেড ছিল না। সেখানে গেটম্যানও ছিলেন না। মাইক্রোবাস যখন একেবারে লাইনের ওপর উঠে যায়, ঠিক তখন খুব জোরে ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাই। মুহূর্তেই ট্রেন আমাদের মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। এরপর অনেক দূর পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, যেদিক দিয়ে ট্রেন মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়েছে, তার উল্টো দিকে জানালার পাশে ছিলাম আমি। ট্রেনের গতি যখন কমে যায়, অনেকটাই থেমে গেলে জানালা দিয়ে আমি বেরিয়ে আসি। এরপর আশপাশের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’ ইমন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমরা খৈয়াছড়ায় গিয়েছিলাম। দুপুরে ফিরে আসছিলাম। মাইক্রোবাসে মোট ১৮ জন ছিল। এরমধ্যে আরএনজে কোচিং সেন্টারের ১৬ জন ছিলাম। এরমধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থী এবং চারজন শিক্ষক ছিলেন। বাকি দুজনের মধ্যে একজন চালক, আরেকজন চালকের সহকরী ছিলেন। জুনাইদ কাউসার ইমন ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে কম জখম হয়েছেন। তবে শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ইমন। ইমন হাটহাজারী থানার আমান বাজার খন্দকিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় চুরমার হওয়া মাইক্রোবাসে থাকা ইমন বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। # ২৯.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #