চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের মিলল বিপুল বিদেশি মদ

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে খালাসের পর বিদেশি মদের আরও দু’টি চালান আটক হয়েছে। এ নিয়ে তিন দফায় বন্দরে খালাস হওয়া পাঁচটি বিদেশি মদের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) সিএফএস শেডে মদের দু’টি পৃথক চালান বোঝাই দু’টি কনটেইনার আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ কমিশনার সাইফুল হক জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিচার্স (এআইআর) ও পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) শাখার কর্মকর্তারা কনটেইনারটি খুলে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিদেশি মদ পেয়ে সেগুলোর খালাস বন্ধ ঘোষণা করেন। চালান দু’টির মধ্যে একটি এসেছে নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডের ডঙ জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) লিমিটেডের নামে। ওই চালানে সিনথেটিক প্লাস্টিকজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পলিপ্রপিলিন রেজিন আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। গত ১২ জুলাই জাহাজে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। একই প্রতিষ্ঠানের নামে আনা আরেকটি মদের চালান রোববার কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডের ১৩ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে আটক করেছিল। সোমবার আটক করা আরেকটি চালান এসেছে বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। টেক্সটাইল সুতা আমদানির ঘোষণা দিয়ে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে গত ২ জুলাই। কাস্টমস কর্মকর্তা সাইফুল জানিয়েছেন, সর্বশেষ আটক দুইটি চালান খালাসের জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এজন্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, রোববার আটক করা কনটেইনারটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নগরীর ডবলমুরিংয়ের জাফর আহমদ নামে একজনের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। একই সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিদেশি মদের দুইটি চালান খালাস করে নিয়ে যায়। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা মদের চালান দু’টি আটক করেন। কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড মেশিনারি এবং পাবনার ঈশ্বরদীর বিকেএইচ টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে সেলাই মেশিনের ববিন ঘোষণা দিয়ে চালান দু’টি আমদানি করা হয়েছিল। শতভাগ পরীক্ষায় পণ্য চালান দুটিতে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পণ্য চালান দুটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে। গত দুইদিনে আটক তিনটি চালানে বিদেশি মদের পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

# ২৬।০৭।২০২২ চট্টগ্রাম #