চলমান সংবাদ

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতিরোধে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি

-২য় দিনে চট্টগ্রাম রেলস্টশনে প্রবেশে বাধা

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি রোধসহ ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য চবি শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকতে দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে তাদের স্টেশনে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। সোমবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে রেলস্টেশনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান বলেন, সোমবার আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী স্টেশনে অবস্থান নেওয়ার জন্য আসি। কিন্তু স্টেশনের নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। কারণ জানতে চাইলে তারা ওপরের (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার) নিষেধ আছে বলে জানান। এরপর ভেতরে ঢুকতে না পেরে আমরা স্টেশনের সামনে মূল ফটকে অবস্থান নিই। দাবি আদায় না করে আমরা যাবো না। এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যাত্রীদের যাতে হয়রানিতে না পড়তে সেজন্য তাদের স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্টেশনের ভেতরে অবস্থান নিলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বে। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি যৌক্তিক মন্তব্য করে বলেন, এক রাতে এতগুলো দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। আগের দিন রোববার এ বিষয়ে তাদের লিখিত দিতে বলা হলেও তারা দেননি। সোমবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া ৯ শিক্ষার্থী হলেন- যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের কাজী আশিকুর রহমান, আকবর আলী, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ মাহিন, প্রথম বর্ষের জিকো চাকমা ও মো. মুজাহিদদুজ্জামান এবং দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি ও ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ তৌফিক। ছয় দফা দাবিসমূহ হলো- টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করা, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যাত্রীচাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকান্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এসব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
# ১৮.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #